আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আবর্জ্যনা ব্যবস্থাপনা – যা অনুজীব বিদ্যা এবং এর প্রয়োগ এর অন্তর্ভুক্ত।
আবর্জ্যনা ব্যবস্থাপনা
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পূণর্ব্যবহার (Recycling) এবং নিষ্কাশনের(Disposal) সমন্বিত প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এই শব্দটি দিয়ে সাধারণত মানুষের কার্যকলাপে সৃষ্ট অপ্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ সংক্রান্ত কাজগুলোকে বুঝানো হয়ে থাকে; ঐ বস্তুগুলোর থেকে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ক্ষতিকারক প্রভাব প্রশমিত করার জন্য, কিংবা পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষার কাজগুলোই এই প্রক্রিয়াতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
এছাড়াআবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আবর্জনা থেকে পরিবেশের ক্ষতি রোধ করার কাজ এবং আবর্জনা থেকে পূণর্ব্যবহারযোগ্য বস্তু আহরণ সংক্রান্ত কাজও করা হয়ে থাকে। এতে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি এবং দক্ষতার দ্বারা কঠিন, তরল কিংবা বায়বীয় বর্জ্য সংক্রান্ত কাজ করা হয়।

উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশভেদে, শহর বা গ্রাম্য এলাকাভেদে, আবাসিক বা শিল্প এলাকাভেদে আবর্জনা ব্যবস্থাপনার ধরন আলাদা হয়। সাধারণত স্থানীয় বা পৌরকর্তৃপক্ষ আবাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা থেকে উৎপন্ন অবিষাক্ত ময়লাসমূহের জন্য ব্যবস্থাপনা করে থাকেন।
বেশির ভাগ মানব কর্মকাণ্ডের মতন সেবার ক্ষেত্রেও প্রচুর বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ৭৫% বর্জ্যই পৌরসভার স্বাধারণ অন্যান্য ময়লার মত, বিপদজনক নয়। শুধুমাত্র ২৫% চিকিৎসা বর্জ্যের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমে এই বিপদজনক বর্জ্য সনাক্ত করে আলাদা করে ফেলতে হবে।
বিপদজ্জনক বর্জ্য-
বর্জের উদাহরন
- ধারালো বর্জ্য (Sharps ) ব্রেড, সুই, কাঁচের টুকরা
- সংক্রামক বর্জ্য (Infectious) রক্ত কফ, পুঞ্জ ও অন্যান্য ছোঁয়াচে বন্ধু
- রোগগত নমুনা বর্জ্য (Pathological) রক্ত, সৃত অষ্প, টিস্যু, কফ
- ক্ষতিকারক ঔষুধি বর্জ্য (Pharmaceutical) ক্যান্সারের ওষুধ,
- রাসায়নিক বর্জ্য (Chemical)
- বিকিরণ প্রবন বর্জ্য (Radioactive) বিকিরণ চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম চিকিৎসা পরবর্তী রোগীর মল মুত্র
বৰ্ণ কোড সম্বলিত চিকিৎসা বর্জ্য ধারক

চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ৩টি ধাপ: ১. সংগ্রহ ও পৃথকীকরণ (Collection & Segregation); ২. সংরক্ষণ *** (Storage & Transport) se. rigger & Anfür ent (Treatment & Disposal)


আরও দেখুন: