কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

 

কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য

 

কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য

কাউন্সেলিং-এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিকে তার অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে এবং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায়টি খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। কাউন্সিলিং হচ্ছে এমন একটি ধারণা যেখানে একটি পদ্ধতিগত ও পেশাগত পরিবেশে ব্যক্তিকে তার সমস্যা ও মানসিক অবস্থা নিয়ে একটি নিরাপদ ও গোপনীয় পরিবেশে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন মতবাদ ও ব্যক্তিভেদে কাউন্সেলিং এর লক্ষ্যে ভিন্নতা থাকলেও কাউন্সিলিং-এর প্রধান প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলো (Krumboltz, 1966):

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

১. আচরণের পরিবর্তনে সহায়ক কাউন্সিলিং:

ব্যক্তির সমস্যা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই আচরণগত অসামঞ্জস্যতার কারণে ব্যক্তি কর্মজীবনে ও সমাজে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। কাউন্সিলিং-এর লক্ষ্য হলো ব্যক্তিকে তার কাঙ্খিত আচরণ করতে সাহায্য করা।

২. খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা বৃদ্ধি:

শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত মানুষ সমাজে বহুবিদ ঘটনা, সমস্যার সম্মুখীন এবং উত্তরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে। এই প্রক্রিয়ায় যখন কোনো ব্যক্তি সমস্যার উত্তরণের পথটি হারিয়ে ফেলে অথবা উত্তরণের পথটি সহজে গ্রহণ করতে পারে না তখনই সে সমস্যাগ্রস্থ হয়। এক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতাকে সমাজ বা পরিবেশের সাথে সর্বোচ্চ খাপ খাওয়ানোর জন্য সহায়তা করা হয়।

 

কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য

 

৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধি:

ব্যক্তি জীবন প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা স্বাভাবিক জীবনকে রুদ্ধ করে। কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে ব্যক্তিকে বা সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করা হয় এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সঠিক সিদ্ধান্তটি বেছে নিতে সেবা গ্রহীতাকে সাহায্য করা হয়।

৪. সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করা:

মানুষের অনেক সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যক্তির সম্পর্ক তৈরি এবং বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়া। প্রতিটি মানুষ ভন্নি ভন্নি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়ার কারণে সম্পর্ক তৈরি এবং বজায় রাখা অনেক সময় একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ সমাজ নিয়ে চলে বলে সামাজিক সম্পর্ক তৈরি এবং বজায় রাখা স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এক্ষেত্রে কাউন্সিলিং সম্পর্কটি সঠিকভাবে অনুধাবন করে সম্পর্ক তৈরি এবং বজায় রাখতে সহায়তা করে।

 

কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য

 

৫. ব্যক্তির স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা:

প্রত্যেক ব্যক্তিই কোনো না কোনো সক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু ব্যক্তি পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে উক্ত ক্ষমতা, দক্ষতা, বা পারদর্শীতার বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকে না অথবা জানা থাকলেও যথাযথ প্রয়োগের সুযোগ ব্যবহার করতে পারে না। কাউন্সেলিং এর লক্ষ্য হলো ব্যক্তির স্বকীয় ক্ষমতাকে চিহ্নিত ও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করা।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment