আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় কাপড় ধৌত করা – যা দৈনন্দিন কর্মকান্ডে সহযোগিতা এর অন্তর্ভুক্ত।
কাপড় ধৌত করা

পরনের বস্ত্র যদি শরীরের ঘাম বা সম্ভাব্য সংক্রামক উপকরণ দিয়ে নোংরা হয়, তবে এটিকে দূষিত হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। ডিসপোজেবল গ্লাভস পরে ডিটারজেন্ট এবং ব্লিচ দ্রবণ পানিতে মিশিয়ে আইটেমগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে।
যেসব রোগীর রোগপ্রতিরোধক্ষমতা কম তাদের জন্য ময়লা কাপড় রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। ময়লা কাপড় থেকে দ্রুতই রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। যেমন, হাসপাতালে, যেই ঘরে কোনো ত্বকের ইনফেকশনে আক্রান্ত অথবা কলেরা বা ডায়রিয়ার রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধির নিয়মাবলি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুসমূহ রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে কোন সুস্থ মানুষও এমআরএসএ(MRSA) ব্যাক্টেরিয়া বা অ্যান্টারো ব্যাক্টেরিয়ার বাহক হতে পারে যারা বহু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ফ্যাক্টর (NDM-1 or ESBL-producing strains) বহন করতে পারে যা কেবল ধরা পরতে পারে হাসপাতালে যাওয়ার পরেই।
কিন্তু সুস্থ সমাজে বাস করার সময় এই ব্যক্টেরিয়াসমূহ চতুর্দিকে ‘নিরবে’ ছড়িয়ে পরতে থাকে।গবেষণা বলছে, এই ধরনের সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকির পেছনে পোশাক ও ঘর-মুছুনিসমূহও প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে।
ধোওয়া মোছার স্বাস্থ্যবিধি বলা হয় ঐসব নিয়মাবলিকে যেগুলো মেনে চললে ময়লা পোশাক, নেকড়া, গামছা বা তোয়ালেজাতীয় মুছুনি থেকে রোগ ছাড়ানোর পথ বন্ধ করা যায়।

যেসব জিনিস দেহের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সেগুলোই দ্রুত জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যায় যেমন, অন্তর্বাস(পোশাকের ভেতরে পরিধেয়), ব্যক্তিগত গামছা-তোয়ালে, মুখের নেকাব বা মাস্ক, শিশুদের ল্যাঙ্গট বা ডায়পার ইত্যাদি। খাবার প্রস্তুত করার সময় বা টয়লেট পরিষ্কারের সময় ব্যবহৃত কাপড় বা মল-মূত্র কিংবা বমি পরিষ্কার করার কাপড়-চোপড় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও দেখুন: