চতুর্থ অধ্যায় ব্যবহারিক

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় চতুর্থ অধ্যায় ব্যবহারিক – যা দৈনন্দিন কর্মকান্ডে সহযোগিতা এর অন্তর্ভুক্ত।

চতুর্থ অধ্যায় ব্যবহারিক

 

চতুর্থ অধ্যায় ব্যবহারিক

 

জব ১: রোগীকে ওরাল হাইজিন বজায় রাখতে সহযোগীতা করা

পারদর্শীতার মানদণ্ড :

১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে নিতে হবে।

২। প্রয়োজন অনুযায়ী মুখগহবরের যত্ন নেয়ার জন্য একটি জায়গা উপযুক্ত করে তুলতে হবে।

৩। জব অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, ম্যাটেরিয়্যাল বাছাই এবং সংগ্রহ করতে হবে।

৪। কাজে সহায়তা করার জণ্য রোগীকে প্রস্তুত রাখতে হবে।

৫। ওরাল হাইজিং দেওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থানটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

৬। ব্যবহৃত জিনিসসমূহ নির্ধারিত বিনে/বর্জ্য পাত্রে ফেলে দিতে হবে। ৭। কাজ শেষে রেকর্ড শীটে নথিভুক্ত ক্রতে হবে।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী ।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি/ইকুইপমেন্ট

একটি পরিষ্কার ট্রেতে যে জিনিসগুলো থাকবে:

১। ম্যাকিংটোস এবং টাওয়েল (Mackintosh and Towel), ২। টুথব্রাশ এবং পেস্ট (Toothbrush and paste), ৩। মাউথ ওয়াশ সলিউশন (Mouth wash solution), ৪। এক কাপ পানি (A cup of water), ৫। ফেইস টাওয়েল (Face Towel), ৬। স্পঞ্জ ক্লোথ (Sponge Cloth), ৭। টাং ডিপ্রেসর (Tongue

depressor), ৮। গজ পিছ (Gauze piece), ৯। কিডনি ট্রে (Kidney Tray), ১০। এক বোল পরিষ্কার পানি (A bowl of clean water)

কাজের ধারা:

১। কাজের জন্য উপযুক্ত পিপিই (PPE) পরতে হবে।

২। নির্দেশিকা অনুযায়ী হাত ধৌত করতে হবে।

৩। সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ, সরবরাহকৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে এবং প্রস্তুত করতে হবে।

৪। দুই হাতে ক্লিন গ্লোভস পড়ে রোগীকে ওরাল হাইজিং দেওয়ার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে এবং মৌখিক সম্মতি নিতে হবে।

৫। রোগীর পজিশন আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে নিতে হবে।

৬। রোগীর মুখগহবর, দাঁত এবং গলার ভিতর পরীক্ষা করে একের পর এক ধাপ মেনে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

৭। রোগীর বুকের উপর এবং থুতনীর নীচে ম্যাকিংটোস/ রাবার ক্লথবিছিয়ে নিতে হবে।

৮। রোগীকে বিছানা থেকে ৪৫ ডিগ্রী কোণে পজিশনিং করে মুখের বিপরীতে একটি কিডনি ট্রে ধরে রাখতে
হবে।

৯। রোগী অচেতন থাকলে টাং ডিপ্রেসর দিয়ে মুখের চোয়াল হাঁ করে নিতে হবে।

১০। কাপের মধ্যে রাখা সলিউশন -এর মধ্যে জীবানুমুক্ত একপিছ গজ ভিজিয়ে নিংড়িয়ে নিয়ে রোগীর মাড়ি
ও মুখের ভিতর উপর -নীচ করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

২। সচেতন রোগীর ক্ষেত্রে টুথব্রাশে পেষ্ট লাগিয়ে ছবিতে নির্দেশিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

১২। রোগীকে গ্লাসে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি দিয়ে কুলকুচি করে উক্ত পানি বেসিনে ফেলে দিতে বলতে হবে।

১৩। রোগীর মুখমণ্ডল ফেইস টাওয়েল দিয়ে মুছে দিতে হবে।

১৪। ব্যবহৃত হয়েছে এমন জিনিসগুলো নির্ধারিত বিনে/বর্জ্য পাত্রে রাখতে হবে।

১৫। প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

১৬। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, উপকরণসমূহ এবং কাজের এলাকাটি পরিষ্কার করে নির্দেশনা অনুসারে সরঞ্জাম ও উপকরণসমূহ নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

কাজের সতর্কতাঃ

১। কাজের সময় পিপিই ব্যবহার করতে হবে।

২। রোগীর সহযোগীতা পেতে পুরো পদ্ধতিটি বর্ণনা ও শেয়ার করতে হবে।

৩। ওরাল হাইজিং দেওয়ার পূর্বে রোগীকে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করার বিষয়টি অবহিত করতে

৪। রোগীর মুখে কোন আর্টিফিসিয়াল দাঁত কিংবা ডেঞ্চার আছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে।

৫। কাজ শুরু করার পূর্বে রোগীকে আরামদায়ক অবস্থানে পজিশনিং করে নিতে হবে।।

৬। কাজটি সম্পন্ন করতে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল: তুমি ওরাল হাইজিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছ। ফলাফল বিশ্লেষণ/

মন্তব্য: আশাকরি বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।

জব ২: বেডপ্যানের মাধ্যমে রোগীকে টরনেটিং এ সহযোগীতা করা

পারদর্শীতার মানদন্ড:

১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও নির্ধারিত পোশাক পরিধান করতে হবে।

২। প্রয়োজন অনুযায়ী বেডপ্যানের মাধ্যমে টয়লেটিং এর জন্য রোগীর বিছানাকে উপযুক্ত করে তুলতে হবে।

৩। জব অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, ম্যাটেরিয়্যাল বাছাই এবং সংগ্রহ করতে হবে।

৪। কাজে সহায়তা করার জণ্য রোগীকে প্রযুক্ত রাখতে হবে।

৫। টরলেটিং-এর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থানটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে। ৬। ব্যবহৃত জিনিসসমূহ নির্ধারিত ময়লার বিনে/বর্জ্য ধারকে ফেলে দিতে হবে।

৭। কাজ শেষে রেকর্ড শীটে জবের আউটপুট নথিভুক্ত করতে হবে।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।

প্রয়োজনীয় ফরপাতি/ইকুইপমেন্ট/ ম্যাটেরিয়াল :

১। এক বেসিন ষ্ণ গরম পানি (A basin with warm water)

২। ডিজেবল গ্লাভস (Disposable gloves)

৩। টয়লেট পেপার (Toilet paper )

৪। তোয়ালে (Towels)

৫। পরিষ্কার কাপড় বা ভিজা ওয়াইপস (Wash cloths or wet wipes )

 

চতুর্থ অধ্যায় ব্যবহারিক

 

১। ডিম্পজেল প্লান্ড;

২। টয়লেট পেপার ;

৩। টাওয়েল;

৪। ভিজা ওয়াইপস

কাজের ধারা:

১। কাজের জন্য উপযুক্ত পিপিই (PPE) পরতে হবে।

২। নির্দেশিকা অনুযায়ী হাত ধৌত করতে হবে।

৩। সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ, সরবরাহকৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে তা প্রস্তুত করতে হবে

৪। বেডপ্যানটিকে পরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে বেডপ্যান খালি করে নিতে হবে।

৫। বেডপ্যানের উপরিভাগে ট্যাঙ্কম পাউডার ব্যবহার করতে হবে যাতে রোগীর ত্বকের সাথে এটি এটে না যায়।

৬। বেডপ্যানের টয়লেট টিস্যু / পানি অথবা ভেজিটেবল অয়েল স্প্রে করতে হবে যাতে পরবর্তীতে বেডপ্যানটি সহজে পরিষ্কার করা যায়।

৭। রোগী যদি সক্ষম হয় তাহলে তাকে উক্ত কাজে সহযোগীতা করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।

৮। ব্যক্তির গাউনটি উপরে তুলে ব্যক্তিকে তার বাটকের নীচে বেডপ্যানটি রাখতে বলতে হবে।

৯। যদি রোগী তার হিপ উপরে জাগাতে না পারে তাহলে তাকে পাশে ঘুরিয়ে তারপর বেডপ্যানের উপরে ফিরিয়ে দিতে হবে।

১০। যদি ব্যক্তি তার মলদ্বারের এলাকা পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে জায়গাটি পরিষ্কার করার জন্য একটি ভেজা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।

১১। যদি কোনো মহিলার প্রস্রাব হয় তবে সেই জায়গায় এক কাপ গরম পানি ঢেলে শুকিয়ে নিতে
হবে।

১২। বেডপ্যানটি সরিয়ে পরিষ্কার করে খালি করে জমাকৃত বর্জ্য টয়লেটে ফেলতে হবে।

১৩। হাতের গ্লোভস ও ব্যবহৃত হয়েছে এমন জিনিসগুলো নির্ধারিত ময়লার বিনে/ বর্জ্য ধারকে রাখতে হবে।

১৪। ব্যক্তির হাত ধুয়ে নিজের হাত আবার ধৌত করতে হবে।

১৫। প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

১৬। কাজের এলাকাটি পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, উপকরণসমূহ নির্দেশ অনুসারে
নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

কাজের সতর্কতা:

১। কাজের সময় পিপিই ব্যবহার করতে হবে।

২। রোগীর সহযোগীতা প্রত্যাশা করতে পুরো পদ্ধতিটি অবহিত করতে হবে।

৩। যখন রোগীকে সরাতে সাহায্য করা লাগবে তখন নিজের নিরাপদ থাকার ব্যাপারেও গুরুত্ব দিতে
হবে।

৪। রোগীকে সাহায্য করার আগে, ঐ বিষয়ে বিজ্ঞান সম্মত নির্দেশাবলি ভালোভাবে রপ্ত করে নিতে
হবে।

৫। কাজ শুরু করার পূর্বে রোগীকে আরামদায়ক অবস্থানে পজিশনিং করে নিতে হবে। ৬। কাজটি সম্পন্ন করতে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল: তুমি বেডপ্যানের মাধ্যমে রোগীকে টয়লেটিং করানোর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছ।

ফলাফল বিশ্লেষণ/মন্তব্য: আশাকরি বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে ।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জব ৩: প্রাপ্ত বয়স্কদের ডায়াপার খোলা ও পরানো

পারদর্শীতার মানদণ্ড :

১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও নির্ধারিত পোশাক পরিধান করতে হবে।

২। প্রয়োজন অনুযায়ী বেডপ্যানের মাধ্যমে টয়লেটিং এর জন্য রোগীর বিছানাকে উপযুক্ত করে তুলতে
হবে।

৩। জব অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, ম্যাটেরিয়্যাল বাছাই এবং সংগ্রহ করা

৪। তোমার কাজে সহায়তা করার জন্য রোগীকে প্রস্তুত রাখ।

৫। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থানটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

৬। ব্যবহৃত জিনিসসমূহ নির্ধারিত বর্জ্য ধারকে ফেলে দিতে হবে।।

৭। কাজ শেষে রেকর্ড শীটে জবের আউটপুট নথিভুক্ত কর।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি/ইকুইপমেন্ট

১। স্ক্রীন, ২।টিস্যু পেপার, ৩। ডায়াপার, ৪। সাবান, ৫। তোয়ালে, ৬। বালতি, ৭। পাউডার, ৮। রাবার শীট, ৯। এন্টি র্যাশ ক্রীম, ১০। পরিষ্কার কাপড় বা ভিজা ওয়াইপস

কাজের ধারা:

১। কাজের জন্য উপযুক্ত পিপিই (PPE) পরতে হবে।

২। নির্দেশিকা অনুযায়ী হাত ধৌত করতে হবে।

৩। সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ, সরবরাহকৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে তা প্রস্তুত করতে হবে।

৪। রোগীর সম্মতি গ্রহণ করুতে হবে।

৫। গোপনীয়তার সাথে রোগীর শরীর থেকে পুরনো/ ব্যবহৃত ডায়াপার খুলতে সহায়তা করতে হবে।

৬। ব্যবহৃত ডায়াপার সঠিক নিয়মে নির্ধারিত ময়লা রাখার বিন/ ঝুড়ি/ বর্জ্য ধারকে রাখতে হবে।

৭। রোগীকে পরিষ্কার করতে হবে।

৮। এ্যান্টিরাশ ক্রীম ব্যবহার করতে হবে।

৯। গোপনীয়তার সাথে রোগীকে নতুন ডায়াপার পরতে সহায়তা করতে হবে।।

১০। রোগীকে পূর্বের অবস্থানে স্থানা রিত করতে হবে।

১১। কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে সরঞ্জাম ও উপকরণগুলো সুশৃংখলভাবে পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

১২। হাতের গ্লাভস ও ব্যবহৃত হয়েছে এমন জিনিসগুলো নির্ধারিত বর্জ্য ধারকে ফেলতে হবে।

১৩। প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

১৪। কর্মক্ষেত্রটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

কাজের সতর্কতা:

১। কাজের সময় পিপিই ব্যবহার করতে হবে।

২। রোগীর সহযোগীতা প্রত্যাশা করতে পুরো পদ্ধতিটি বর্ণনা ও শেয়ার করা।

৩। রোগীকে সরাতে সাহায্য করার সময় নিজের নিরাপদ থাকার ব্যাপারেও গুরুত্ব দিতে হবে।

৪। ডায়াপার খোলার পড়ে রোগীর বাটোকেকোন র‍্যাশ কিংবা কোনো লালচে ভাব আছে কিনা, তা পরীক্ষা
করে নিতে হবে।

৫। ৬ ঘন্টা পর পর ডায়াপার বদলিয়ে দিতে হবে। তবে এ সময়ের আগে মাঝে মাঝে চেক করতে হবে কোনো প্রসাব অথবা পায়খানা জমে আছে কিনা ।

৬। রোগীকে সাহায্য করার আগে, ঐ বিষয়ে বিজ্ঞান সম্মত নির্দেশাবলি ভালোভাবে রপ্ত করে নিতে হবে।

৭। কাজ শুরু করার পূর্বে রোগিকে আরামদায়ক অবস্থানে পজিশনিং করে নিতে হবে।।

৮। কাজটি সম্পন্ন করতে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল : তুমি রোগীর ডায়াপার খোলা ও পড়ানোর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছ।

ফলাফল বিশ্লেষণ/মন্তব্য: আশাকরি বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে ।

আরও দেখুন:

Leave a Comment