আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও প্রকৃতি – যা জনস্বাস্থ্য এর প্রাথমিক ধারণা এর অন্তর্ভুক্ত।
জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও প্রকৃতি

জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বঃ জনস্বাস্থ্য বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সেবাদানের মান উন্নত এবং জীবন দীর্ঘায়িত করার জন্যে ব্যপক ভুমিকা রাখে । স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধের মাধ্যমে ব্যক্তিরা একটি সুস্বাস্থ্যের মাধ্যমে তাদের সুদীর্ঘ জীবন কাটাতে পারে। বছরের বেশি সময় ভালো স্বাস্থ্য নিয়ে কাটাতে পারে। জনস্বাস্থ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্য সমস্যা সনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং রোগের বিস্তার এড়াতে যথাযথভাবে ভুমিকা রাখে।

জনস্বাস্থ্যের একটি মৌলিক গুণ হল এর প্রতিরোধমূলক অবস্থা। কারণ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ অনেক বেশি কার্যকর এবং অনেক কম ব্যয়বহুল। জনস্বাস্থ্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচি, প্রচারাভিযানের মাধ্যমে জনগনকে সচেতনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে এবং সরকারী স্বাস্থ্যনীতিতে অসামান্য অবদান রাখে। এই ধরনের পদক্ষেপ জনগণের স্বাস্থ্য এবং জীবনকাল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উন্নয়নশীল ও উন্নত-উভয় ধরনের দেশেই স্থানীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং বে-সরকারি সংগঠনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টায় জনস্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একটি আন্তর্জাতিক মাধ্যম যেটি বিশ্বের জনস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো পরিচালনা করে এবং কাজ করে।
জনস্বাস্থ্যের প্রকৃতিঃ জনস্বাস্থ্য-এর মূল প্রকৃতি হলো:
১। বিভিন্ন রোগীর রোগ তদারকি এবং স্বাস্থ্যকর আচরণ নিশ্চিত করা,
২। গোষ্ঠী ও জনসাধারনের উৎসহদানের মাধ্যমে রোগ, আঘাত এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্যার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা।
৩। রোগকে চিকিৎসা ছাড়া সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিরোধ করা। যেমন: উদাহরণস্বরূপ, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মত সাধারণ কাজটি দিয়েই অনেক সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার, টিকাদান কন্ডোম বিতরণ প্রচলিত প্রতিরোধমূলক জনস্বাস্থ্য কর্মসূচীর উদাহরণ।

জনস্বাস্থ্যের লক্ষ্য হল মানসিক রোগ সহ রোগ প্রতিরোধ ও রোগের চিকিৎসার মাধ্যমে জীবনের মানোন্নয়ন করা। বিভিন্ন রোগীর রোগের ও স্বাস্থ্য সূচকের তত্ত্বাবধান এবং স্বাস্থ্যকর আচরণে উৎসহদানের মাধ্যমে এটা করা হয়।
আরও দেখুন: