জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের করণীয়

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের করণীয় – যা জনস্বাস্থ্য এর প্রাথমিক ধারণা এর অন্তর্ভুক্ত।

জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের করণীয়

 

জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের করণীয়

 

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির উদ্দেশ্য, সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ও সীমিতকরণের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বিপর্যয়কর চিকিৎসা ব্যয় হতে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া। যেহেতু বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে গেছে, যা জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই রাষ্ট্রের উচিত ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই মৌলিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। এর পাশাপাশি নিন্ম লিখিত পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে।

১। কার্বন নিঃসরণ:

কার্বন এর মাত্রাধিক্যতা, বিশাল নির্গমন আমাদের শহরগুলোকে অনেক বেশি অনিরাপদ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে গড়ে তুলেছে। সরকারকে স্বপ্রণোদিত হয়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানীর প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ করতে হবে। কারখানা গুলোকে শহরের প্রধানতম সড়ক এবং বসতির বাইরে নিয়ে যেতে হবে এবং কারখানার জন্যেও আলাদা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

২। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা:

উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিংবা প্রোপার ড্রেনেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৩। পর্যাপ্ত হাসপাতাল স্থাপন:

আমাদের দেশের অঞ্চলগুলো পরিকল্পনার সময়ই এমন ভাবে সাজাতে হবে যেনো, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর বসবাসরত পরিধির জন্য একটি করে হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ এবং পর্যাপ্ত কর্মীর সংখ্যা সেখানে বিদ্যমান থাকে ।

৪। পরিকল্পনাবিদগণের হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদান:

জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি নগর পরিকল্পনাতে গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়ন দেখতে চাইলে পরিকল্পনাবিদগণের হাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদান করতে হবে এবং একই সঙ্গে কাজের তদারকি করার সুযোগ দিতে হবে।

 

জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের করণীয়

 

৫। এসডিজি ও নগর পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য:

এসডিজির ৩ নং লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে, “সকল বয়সী মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে” এবং ১১ নং লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে, “অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাত সহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তুলতে হবে।”ভাই নগর পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা সাজালে সর্বোপরি, শত শত প্রাণ রক্ষা পাবে ।

আরও দেখুন:

Leave a Comment