আজকের আলোচনার বিষয়ঃ জীববিজ্ঞানের শাখাসমুহ। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর বেসিক হিউমান বায়োলোজি ও এর প্রয়োগ অংশের অন্তর্গত।

জীববিজ্ঞানের শাখাসমুহ
সেবাদানের জন্য মানব শরীর সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। দেহের গঠন, কার্যপ্রণালী, গুরুত্ব, অগপ্রত্যঙ্গ ও অন্নসমূহের জ্ঞান, সেবা গ্রহণকারীর চাহিদা অনুযায়ী কাজের পরিধি ও পরিকল্পণা করার পূর্ব শর্ত।
জীববিজ্ঞান
বিজ্ঞান শিক্ষায় প্রকৃতিকে যে মূল দুই ধারায় বিশ্লেষণ করা হয় তা হল, জীব ও জড় পদার্থ। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের সার্বিক বৈশিষ্ট নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে জীববিজ্ঞান বলে। বিজ্ঞানের এই প্রাচীনতম শাখায় উদ্ভিদ এবং প্রাণী, এদের গঠন, কার্যকারিতা, কার্যকৌশল পদ্ধতি বা জৈবনিক ক্রিয়া, পুষ্টি ও প্রজনন সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান লাভ করা যায়। ইংরেজিতে জীববিজ্ঞানকে Biology বলা হয়, যা ল্যাটিন শব্দ Bios অর্থাৎ জীবন; Logos অর্থাৎ জ্ঞান এর সমন্বয়ে তৈরি।

জীববিজ্ঞানের শাখা
জীবের ধরনভেদে প্রধান দুই শাখায় বিভক্ত; উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান। এছাড়াও এমন অনেক জীব আছে যা উদ্ভিদ বা প্রাণী কোনোটাই না। যেমন: ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি। তাই বৈশিষ্টের ভিত্তিতে আবার ভৌত জীববিজ্ঞান ও ফলিত জীববিজ্ঞান এই দুই ভাগে বিভক্ত ।

ভৌত জীববিজ্ঞান:
জীববিজ্ঞানের তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
১. অঙ্গসংস্থান (Morphology) সার্বিক দৈহিক বর্ণনা,
২. শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা (Taxonomy) শ্রেণিবিন্যাসের নিয়মনীতি
৩. শরীরবিদ্যা (Physiology) শরীরবৃত্তীয় কাজের বিবরণ
৪. হিস্টোলজি (Histology) আনুবিক্ষণিক গঠন, বিন্যাস, কার্য
৫. ভ্রূণবিদ্যা (Embryology): ভ্রূনের পরিস্ফুরন,
৬. কোষবিদ্যা (Cytology): কোষের যাবতীয় বিষয়,
৭. বংশগতিবিদ্যা (Genetics): জিন ও বংশগতিধারা,
৮. বাস্তুবিদ্যা (Ecology): পরিবেশ ও জীবের আন্তঃসম্পর্ক

ফলিত জীববিজ্ঞান:
প্রায়োগিক বিষয়সমূহ-
১. জীবপ্রত্নতত্ত্ব (Paleontology)
২. জীব পরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics)
৩. পরজীবীবিদ্যা (Parasitology)
৪. কীটতত্ত্ব (Entomology)
৫. অণুজীববিদ্যা (Microbiology)
৬. প্রাণরসায়ন (Biochemistry)
৭. চিকিৎসা বিজ্ঞান (Medical science)
৮. জীব প্রযুক্তি (Biotechnology )
৯. ফার্মেসি (Pharmacy)
১০. বন বিজ্ঞান (Forestry)
আরও দেখুনঃ
2 thoughts on “জীববিজ্ঞানের শাখাসমুহ”