আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় তৃতীয় অধ্যায় ব্যবহারিক – যা সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এর অন্তর্ভুক্ত।
তৃতীয় অধ্যায় ব্যবহারিক
জব ১: ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে প্রদাহের উপসর্গ চিহ্নিত করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে
- পারদর্শিতার মানদণ্ড
- কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম নিশ্চিত করে কাজ শুরু করা।
- কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করা
- কাজের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস্, ইকুইপমেন্ট ও ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ এবং নির্বাচন করা।
- প্রদাহের উপসর্গসমূহ চহ্নিতি করা।
- প্রদাহের অবস্থান উল্লেখ করা।
- প্রদাহের সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা।
- কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে সরঞ্জাম এবং উপকরণগুলো সুশৃঙ্খলভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা ।
- কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Tools & Equipment)

প্রদাহের উপসর্গ চিহ্নিত করার কৌশলঃ
১. ছবিতে চিহ্নিত প্রদাহের উপসর্গগুলো সনাক্ত করা।
২. সনাক্তকৃত উপসর্গগুলোর নাম পাশে লিখা।
৩. প্রদাহের কারণ উল্লেখ করা।

কাজের ধারা
১। কাজের জন্য উপযুক্ত পিপিই পরতে হবে।
২। নির্দেশিকা অনুযায়ী হাত ধৌত করতে হবে।
৩। সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ, সরবরাহকৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে প্রস্তুত করতে হবে।
৪। দুই হাতে ক্লিন প্লোভস পড়ে রোগীকে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে প্রদাহের উপসর্গ চিহ্নিত করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা
করে তার মৌধিক সম্মতি নিতে হবে।
৫। রোগীর পজিশন আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে নিতে হবে।
৬। রোগীর ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে একের পর এক ধাপ মেনে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
৭। রোগীর ক্ষতস্থান ও আশেপাশের কোনো পরিবর্তন যেমন লালচে ভাব, ফোলা, ভাল, ব্যথা ইত্যাদি আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
৮। চিকিৎসক কোনো রক্তের পরীক্ষা দিয়ে থাকলে তা সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯। প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
১০। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, উপকরণসমূহ এবং কাজের এলাকাটি পরিষ্কার করে নির্দেশনা অনুসারে সরঞ্জাম ও উপকরণসমূহ নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
কাজের সতর্কতা
- নমুনা অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন কর।
অর্জিত দ্দক্ষতা/ফলাফল
- নমুনা চিহ্নিত করে এর ব্যবহার বা কাজ উল্লেখ করতে সক্ষম হয়েছ।
- ফলাফল বিশ্লেষণ মন্তব্য: বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।
জব ২- ফুসফুসে সংক্রমণের উপসর্গ চিহ্নিত করার দক্ষতা অর্জন।

পারদর্শীতার মানদণ্ড:
- কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষামুলক সহজাম নিশ্চিত করে কাজ শুরু করা।
- কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করা
- কাজের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস, ইকুইপমেন্টও ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ এবং নির্বাচন করা।
- সংক্রমণের উপসর্গসমূহ চিহ্নিত করা।
- সংক্রমণের অবস্থান উল্লেখ করা।
- সংক্রমণের সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা।
- কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে সরঞ্জাম এবং উপকরণগুলো সুশৃঙ্খলভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা ।
- কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Tools & Equipment)

ফুসফুসে সংক্রমণের উপসর্গ চিহ্নিত করার কৌশলঃ
১. ছবিতে চিহ্নিত সংক্রমণের উপসর্গগুলো সনাক্ত করা।
২. সনাক্তকৃত উপসর্গগুলোর নাম পাশে লিখা।
৩. সংক্রমণের কারণ উল্লেখ করা।

কাজের ধারা
১। কাজের জন্য উপযুক্ত পিপিই (PPE) পরতে হবে।
২। নির্দেশিকা অনুযায়ী হাত ধৌত করতে হবে।
৩। সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ, সরবরাহকৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে প্রস্তুত করতে হবে।
৪। দুই হাতে ক্লিন গ্লোভস পড়ে রোগীকে ফুসফুসে সংক্রমণের উপসর্গ চিহ্নিত করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা
করে তার মৌখিক সম্মতি নিতে হবে।
৫। রোগীর পজিশন আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে নিতে হবে।
৬। রোগীকে লম্বা শ্বাস নিয়ে কাশি দিতে বলতে হবে এবং লক্ষ্য করতে হবে কাশির সাথে ঘন শ্লেষ্মা বের হয় কিনা।
৭। রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তার বুকের ব্যথা প্রায়শই ধারালো বা ছুরিকাঘাতের মত অনুভব করে কিনা এবং কাশি বা গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের ব্যথা আরও বাড়ে কিনা।
৮। রোগীর জ্বর, হৃদ-স্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার ইত্যাদি পরিমাপ করতে হবে।
৯। রোগীর সর্দি ও হাঁচির মত উপসর্গ আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১০। রোগীর শ্বাস কষ্টের কারণে তার ত্বক ও ঠোঁট নীল বর্ণের হয়ে যায় কি না তা দেখতে হবে
১১। একটি স্টেথোস্কোপ বুকের উপর রেখে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ফুসফুস থেকে কোনো কর্কশ শব্দ শোনা যায় কিনা ।
১২। চিকিৎসক কোনো ল্যাবরেটরী পরীক্ষা দিয়ে থাকলে তা সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩। প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
১৪। পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সরঞ্জাম, উপকরণসমূহ এবং কাজের এলাকাটি পরিষ্কার করে নির্দেশনা অনুসারে নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
কাজের সতর্কতা
- নমুনা অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করা
অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল:
- নমুনা চিহ্নিত করে এর ব্যবহার বা কাজ উল্লেখ করতে সক্ষম হয়েছ।
- ফলাফল বিশ্লেষণ/মন্তব্য: বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।
জব ৩-ক্ষতস্থান চিহ্নিত ও তাঁর পরিচর্যাকরণ
পারদর্শিতার মানদণ্ড :
- কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম নিশ্চিত করে কাজ শুরু করা।
- কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করা
- কাজের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস, ইকুইপমেন্ট ও ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহ এবং নির্বাচন করা।
- ক্ষতস্থান চিহ্নিত করা ।
- ক্ষতস্থানের পরিচর্যা করা।
- ক্ষতস্থানের অবস্থান ও গভীরতা উল্লেখ করা ।
- কর্মক্ষেত্রের নিয়ম অনুসারে সরঞ্জাম এবং উপকরণগুলি সুশৃঙ্খলভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা ।
- কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Tools & Equipment)

ক্ষতস্থান চিহ্নিত ও তাঁর পরিচর্যা করার কৌশলঃ
১. ছবিতে চিহ্নিত সংক্রমণের উপসর্গগুলো সনাক্ত করা।
২. সনাক্তকৃত উপসর্গগুলোর নাম পাশে লিখা।
৩. সংক্রমণের কারণ উল্লেখ করা।

কাজের ধারা
১। কাজের জন্য উপযুক্ত পিপিই পরতে হবে।
২। আদর্শ নির্দেশিকা অনুযায়ী হাত ধৌত করতে হবে।
৩। সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহকৃত সরঞ্জাম সংগ্রহ করে প্রস্তুত করতে হবে।
৪। দুই হাতে ক্লিন গ্লোভস পড়ে রোগীকে ক্ষতস্থান চিহ্নিত ও তাঁর পরিচর্যাকরনের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে তার মৌখিক সম্মতি নিতে হবে।
৫। রোগীর পজিশন আরামদায়ক অবস্থায় নিয়ে নিতে হবে।
৬। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান শক্ত করে চেপে ধরতে হবে।
৭। হাত বা পা কেটে গিয়ে রক্তপাত হলে ক্ষতস্থান হৃদপিন্ডের উপরে তুলে ধরতে হবে। সেক্ষেত্রে রক্তপাত কম হবে, কারণ তরল পথার্থ কখনোই উপরের দিকে প্রবাহিত হতে পারে না ।
৮। ক্ষতস্থানের উপর একটি পরিষ্কার কাপড়ের প্যাড দিয়ে শক্ত করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতে হবে।
৯। এরপরেও যদি রক্তপাত না কমে সেক্ষেত্রে রক্তচাপ বিন্দু বা প্রেসার পয়েন্ট চেপে ধরতে হবে।
১০। দিনে অন্তত একবার ড্রেসিং পরিবর্তন করতে হবে। ড্রেসিং পরিবর্তন করার পূর্বে প্রতিবার হাত
ধুয়ে নিতে হবে।
১১। ক্ষতস্থানটির অবস্থা যদি বেশি খারাপ হয় তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
১২। প্রয়োজনীয় তথ্য রেকর্ড চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
কাজের সতর্কতা
- নমুনা অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন কর।
অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল:
- নমুনা চিহ্নিত করে এর ব্যবহার বা কাজ উল্লেখ করতে সক্ষম হয়েছ।
- ফলাফল বিশ্লেষণ/মন্তব্য: বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।
আরও দেখুন: