দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া ও রিপোর্টিং

আজকে আমরা আলোচনা করবো দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া ও রিপোর্টিং। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর পেশেন্ট কেয়ারে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অংশের অন্তর্গত।

 

দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া ও রিপোর্টিং

 

দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া ও রিপোর্টিং

দুর্ঘটনা রিপোর্টিং হল কর্মক্ষেত্রে কোনো ঘটনা রেকর্ড করার প্রক্রিয়া, যার মধ্যে থাকতে পারে কোনো ব্যক্তি হারিয়ে যাওয়া, আঘাত এবং দুর্ঘটনা ঘটা। এটি কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করার পদ্ধতি। দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা প্রতিষ্ঠানে কোনো আক্রমণ চিহ্নিত করতে, অগ্রাধিকার দিতে, ধারণ করতে এবং নির্মূল করতে সাহায্য করে। দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়ার লক্ষ্য হল সংস্থাগুলো পুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার ঘটনা সম্পর্কে সচেতন এবং সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং ভবিষ্যতে কোনো ঝুঁকি বা অনুরূপ ঘটনাগুলোকে রোধ করতে দ্রুত কাজ করে তা নিশ্চিত করে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া পদ্ধতি

১। ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে হবে।

২। প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করে জরুরি পরিষেবা নিশ্চিৎ করতে হবে।

৩। দুর্ঘটনায় সাড়া প্রদানকারী যদি যোগ্য হয় তবে অবিলম্বে কাজ শুরু করে অন্য কাউকে সাহায্যের জন্য ডাকতে হবে।

৪। সম্ভাব্য গৌণ দুর্ঘটনা নিরন্ত্রণ করতে হবে। অন্যান্য ব্যক্তির ভীড় সরাতে হবে।

 

দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া ও রিপোর্টিং

 

৫। ঘটনাস্থলে মানুষ এবং অবস্থা সনাক্ত করে কেউ তার প্রকৃত ঘটনা জানে কিনা তা জিঞ্জেস করতে হবে। কেউ দুর্ঘটনায় পণ্ডিত ব্যক্তির নাম জানে কিনা তা জানার চেষ্টা করতে হবে। দুর্ঘটনায় সাড়া দেওয়া ব্যক্তি ঘটনাস্থলে একা থাকলে তার চারপাশে তাকিয়ে সেখানে কে আছে তা লক্ষ্য করতে হবে।

৬। ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দুর্ঘটনার সাড়া দেওয়ার জায়গাটিতে নিরাপদ অবস্থার ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্ঘটনার কারণ ও প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।

৭। তাৎক্ষণিক জরুরি অবস্থা স্থিতিশীল হয়ে গেলে, এই অতিরিক্ত পদক্ষেপগুলো নেওয়া উচিত:

ক। ক্ষতিটি কতটা খারাপ, এটি কতটা খারাপ হতে পারে এবং অতিরিক্ত তদন্ত করার প্রয়োজন আছে কিনা তা মূল্যায়ন করতে হবে;

খ। বিষয়টি যথাফা কতৃপক্ষকে অর্থাৎ মালিক এবং ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনাকে অবহিত করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিবার, প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং বীমা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

আরও দেখুনঃ