আজকে আমরা একটি নমুনা কাউন্সেলিং সেশন বা অধিবেশন সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

একটি নমুনা কাউন্সেলিং সেশন বা অধিবেশন
এখানে কাউন্সেলিং সেবার প্রয়োজন এমন একটি সমস্যার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
“একজন কেয়ারগিভারকে তার নিয়োগকর্তা হোম কেয়ারের একজন ক্লায়েন্টের ছেলের সাথে কথা বলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। নিয়োগকর্তা কেয়ারগিভারকে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো সরবরাহ করেনঃ ছেলেটির বয়স ২৩ বছর এবং সে এই সালে তার ভার্সিটির শেষ বর্ষে। ছেলেটি যদিও মেধাবী ছাত্র, ইদানীং সেই প্রায়সই তার ভার্সিটিতে যায়না বা দেরি করে যায় এবং লেখাপড়ার অমনোযোগীতার কারণে তার কোর্স কো-অর্ডিনেটর তার মায়ের কাছে তার উদ্বিগ্নতার কথা জানান। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কাজে কেয়ারগিভারের সহায়তা নেয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ মা বিষয়টি জানতে পেরে খুবই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন এবং আশঙ্কা করলেন যে তার ছেলে হয়তোবা ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় পাস করবেনা। এমতাবস্থায় তিনি চাচ্ছেন তার ছেলেকে কাউন্সেলিং সেবার মাধ্যমে পুর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে কেয়ারগিভারের সহায়তা। “

এরপরে আলোচনায় দেখা যাবে যে এই পরিস্থিতিতে আমাদের কেয়ারগিভার ঠিক কি করতে পারেন।
নির্দেশনাঃ
তিনি যা বলেন তার প্রতি মনোযোগ দাও। খেয়াল কর যে ছেলেটিকে নির্দ্বিধায় খোলা মনে কথা বলা শুরু করতে উৎসাহ দিতে গিয়ে আমাদের কেয়ারগিভার কি কি সাধারণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে। তিনি প্রথমেই ছেলেটিকে শুভেচ্ছা জানান এবং একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ছেলেটি যা বলে সেটি মনোযোগ দিয়ে শোনেন। যতক্ষণ না এই কেয়ারগিভার ছেলেটির সমস্যার পিছনের পুরো কাহিনীটি শোনেন ততক্ষণ কোনোও পরামর্শ দেওয়া হয়নি। এছাড়াও কেয়ারগিভার ছেলেটিকে সমস্যাটি সম্পর্কে সাবধানতার সাথে চিন্তা করতে উত্সাহিত করে যাতে সে কারণটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং নিজের জন্য কিছু সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আসতে পারে। মনে রাখবেন যে সমস্যা সমাধান বিকাশে অংশ নিলে ব্যক্তি তার সমস্যা সমাধানে আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।
চাইলে ক্লাসের অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থীর সাথে এই কাউন্সেলিং সেশনটি একটি ছোট নাটক হিসাবে অনুশীলন করা যেতে পারে। সবাই একবারে আলোচনাটি পড়ে নিয়ে দু’জন স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে একজন কেয়ারগিভারের অংশটি জোরে জোরে পড়বে, অন্যজন ছেলেটি কী বলবে তা জোরে জোরে পড়বে। কাউন্সেলিং অনুশীলনের জন্য এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে।

কেয়ারগিভার:
সুপ্রভাত। আমি আশা করি আপনার এবং আপনার মায়ের সবকিছু ভালো চলছে।
ছেলেঃ
ধন্যবাদ। মায়ের কিছুটা কোমরের ব্যথা আছে, তা বাদে সবাই ভালো আছি।
কেয়ারগিভার:
ভালো। আপনার মায়ের কোমরের ব্যথা আগের চেয়ে কমছে। নতুন শিডিগুলে ফিজিওথেরাপীটা অনেক ভালো কাজ করছে।
ছেলেঃ
জ্বি। আমারও তাই মনে হচ্ছে। ভালো।
কেয়ারগিভার:
মনে হচ্ছে গ্র্যাজুয়েশনে এটি আপনার শেষ বছর। আপনার পড়াশোনা কেমন চলছে?
ছেলেঃ
জ্বি। আমি সাধারণত ভার্সিটিতে ভালোই করছি, তবে আপনি জানেন তো শেষ বছরটি সবসময়ই কঠিন!
কেয়ারগিভার:
ইদানীং আপনার শরীর-স্বাস্থ্য কেমন যাচ্ছে?
ছেলেঃ
আসলে, আমি কিছুটা দুর্বল বোধ করছি এবং ইদানীং খুব মাথাব্যথা করছে। আমি ধারণা করছিলাম এটি সম্ভবত কোভিড১৯, তবে আমি নিশ্চিত নই।
কেয়ারগিভার:
এ বছর তো করোনার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আপনি করোনার পরীক্ষা করিয়েছেন?
ছেলেঃ
আসলে এখনো করা হয়নি।
কেয়ারগিভার :
আপনার কি আর কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ আছে বলে অনুভব করছেন?
ছেলেঃ
না, আসলে আর কোনো সমস্যা অনুভব করছিনা।

কেয়ারগিভার:
ভালো। করোনা আসলে সাধারণ ফ্লুয়ের মতই যদি না বড় ধরনের কোনো উপসর্গ না থাকে। তবুও সতর্ক থাকা ভালো। আপনি কোনো ওষুধ খাচ্ছেন?
ছেলেঃ
আমি এখন পর্যন্ত প্রায় তিনবার পেইনকিলার ট্যাবলেট নিয়েছি, তবে আমি কখনই পুরোপুরি ভালো হয়ে উঠছি বলে মনে হচ্ছেনা।
কেয়ারগিভার :
এসব ক্ষেত্রে ওষধ প্রয়োজনীয়, তবে একমাত্র ওষুধই আমাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে পারে না। আপনি ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করছেন তো?
ছেলেঃ
মনে তো হচ্ছে করছি।
কেয়ারগিভার:
দয়া করে বলুন, গত কয়েকদিন ধরে আপনি কী খাচ্ছেন?
ছেলেঃ
আমার মা সবসময় আমাদের একটি ভালো প্রাতঃরাশ করতে বলেন, তাই আমি নিজের এবং ভাইদের জন্য রুটি ও সকালের নাস্তা তৈরি করি। তারপরেও আমি সবসময় ফলমূল কেনার চেষ্টা করি।
কেয়ারগিভার:
আপনি বলছেন যে আপনি কিছুটা রান্না এবং শপিং করেন?
ছেলেঃ
এই কাজগুলো করা খুবই দরকার। আপনি তো জানেন যে কয়েক বছর আগে আমার মা তার পিঠে আঘাত পায় যা এখন তাকে অনেক ঝামেলা দিচ্ছে। ডাক্তার বলছেন যে তিনি বয়স্ক হয়ে যাচ্ছেন এবং আরও অনেক কিছু এ অবস্থায় চাইলেও করা যায় না। তারা তার ব্যথা উপশম করার জন্য চিকিৎসা দেয়, তবে চিকিত্সক আমাদের সকল ভাইদেরকে বলেছিলেন যে কোনোওভাবে মাকে সাহায্য করা ও ঘরের টুকিটাকি কাজ করা। যেহেতু আমি সবার বড়, বেশিরভাগ দায় আমার উপরই পড়ে।
কেয়ারগিভার:
আপনি আর কি কি কাজ করছেন সংসারে?
ছেলেঃ
আমি সন্ধ্যার খাবার প্রস্তুত করি। আমার ছোট ভাইকে ঘরদোর পরিষ্কার করার জন্য পেয়েছি, তবে সে এটি ভালোভাবে করতে পারছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হয় ও তাকে সহায়তা করতে হয়।

কেয়ারগিভার :
এই সমস্ত কাজের ফাকে আপনি কখন, কিভাবে পড়া-লেখার জন্য সময় বের করেন?
ছেলেঃ
এটি একটি সমস্যা। কাজকর্ম না হওয়া এবং ছোট ভাই দুটি রাতে ঘুমাতে না যাওয়া পর্যন্ত আমি সত্যিকার অর্থে ভালোভাবে সুযোগ করে উঠতে আসলে পারিনা। তারপরেও আমি | যত ঘণ্টা সম্ভব পড়ি, বা টেবিলে ঘুমিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত পড়া শুনা করি।
কেয়ারগিভার:
আপনি আসলে কোথায় পড়াশোনা করেন?
ছেলেঃ
আপনি তো জানেন যে, আমাদের বাসায় থাকার জন্য কেবল দুটি ঘর রয়েছে। একটিতে মা থাকেন। অন্যটি খাওয়ার জন্য এবং বাচ্চাদের শোবার ঘর হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সেই কারণেই ছোটদের ঘুম না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার পড়াশোনায় মন দিতে পারি না। আমিএমনকি বাতিটি খুব বেশি উজ্জ্বল না করার চেষ্টা করি যাতে তারা জেগে না উঠে।
কেয়ারগিভার :
আমি দেখতে পাচ্ছি যে জিনিসগুলো এখন আপনার পক্ষে সত্যিই কঠিন৷ আপনি যা বলেছেন তা থেকে এটা স্পষ্ট যে আপনি অনেক চাপের মধ্যে রয়েছেন। আমি বুঝতে পারছি যে আপনার পরিবারের জন্য অবশ্যই আপনার দাযিত্ব পালন করা উচিত। তবে আমার মনে হচ্ছে যে এই অতিরিক্ত কাজ এবং গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশুনা আপনার দুর্বলতা এবং মাথা ব্যথার অনুভূতিতে ভূমিকা রেখেছে। আপনার কি মনে হচ্ছে?
ছেলেঃ
আমার ধারণা আমি এর আগে এটা নিয়ে কখনই ভাবিনি, তবে মনে হচ্ছে আপনার কথাই ঠিক । বোঝা যায়। তবে আমি চিন্তিত, যেমনটি আপনি বলেছিলেন। আমাকে আমার | বাড়িতে কাজ করতে হবে। আমি কীভাবে এই সমস্যাটি মোকাবেলা করতে পারি?
কেয়ারগিভার:
প্রথমত, আপনি আসলে কী অর্জন করতে চান?
ছেলেঃ
আমি এই বছর আমার পরীক্ষায় পাস করতে চাই, তাই আমার সম্ভবত আরও বেশী পড়াশোনা করা প্রয়োজন।
কেয়ারগিভার
এবং আরও অধ্যয়ন করতে সক্ষম হতে আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে এবং বিশ্রাম নিতে হবে।
ছেলেঃ
এটি সত্য, তাই আরও বিশ্রাম কীভাবে নিব সেটি আমাকে খুঁজে বের করতে হবে।

কেয়ারগিভার :
আপনি কখন অধ্যয়নের জন্য আরও সময় পেতে পারেন সে সম্পর্কে কি মনে করছেন? আপনি বলেছেন আপনি সন্ধ্যায় খাবার প্রস্তুত করেন এবং বাজার ঘাট করেন। আপনি ভার্সিটি ছাড়ার সময় এবং খাবার প্রস্তুত করার সময়টির মধ্যে কী করেন?
ছেলেঃ
সাধারণত ভার্সিটির পরে আমি সন্ধ্যার খাবারের প্রয়োজন হতে পারে এমন কিছু কেনাকাটা করতে বাজারে যাই। সেখানে আমি একটু বন্ধুদের সাথে দেখা করি এবং আমরা কিছুক্ষণ কথা বলি এবং একটু আড্ডা দেই। তারপর যখন দেখি সূর্য ডুবে যাচ্ছে তখন আমি বাড়িতে যাই।
কেয়ারগিভার:
আপনার শরীর ও মন ভালো রাখতে এগুলো দরকার। তবে আপনি কি মনে করেন যে সপ্তাহে দুদিন একটু ভালোভাবে পড়ার জন্য ভার্সিটিতে কিছুটা সময় ব্যয় করা সম্ভব? রাতের বেলা হালকা আলোতে পড়ার চেয়ে দিনের আলোতে পড়া আপনার চোখের জন্যেও ভালো।
ছেলেঃ
এটা বোধগম্য। যদিও আমি সন্ধায় বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিতে পছন্দ করি।
কেয়ারগিভার :
আমি বলছি না যে আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা বন্ধ করা উচিত, কারণ এটি আপনার জন্য ভালো। তবে আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী তা আপনাকে ভাবতে হবে। আপনি আপনার ভার্সিটির কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে না। আপনার নিজের পড়াশুনার জন্য কি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে তা আপনার নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন যেমন আপনি আপনার স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন।
ছেলেঃ
আমি কখনই সেভাবে ভাবিনি, তবে আপনি ঠিক বলেছেন, আমি আমার পড়াশুনাকে গুরুত্ব দিই এবং যদি আমার স্বাস্থ্য ভালো না থাকে তবে আমি ভার্সিটিতে ভালো করতে পারি না। আমি নিশ্চিত যে আমি আরও কিছু ঘন্টা ভার্সিটির ক্লাসের পরে থাকতে পারি এবং আমাদের লাইব্রেরিতে পড়তে পারি। তখন কেউ আমাকে বিরক্ত করবে না, বরং শিক্ষকরা ও ক্লাসমেটরা আমাকে পড়াশুনায় সাহায্য করতে পারে। আমার যে কোনোও প্রশ্নে তারা আমাকে সহায়তা করতে পারে। আমার বন্ধুরা আমাকে কেবল এক ঘণ্টার জন্য খুব বেশী মিস করবে না, তাই আমি পরে তাদের সাথে যোগ দিতে পারি।আমি আশা করি লাইব্রেরিতে থাকতে চাইলে তারা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবেনা।
কেয়ারগিভার :
আপনার বন্ধুরা কী আপনার বাড়ির সমস্যাগুলো বোঝে?
ছেলেঃ
অবশ্যই, তারা সবসময় আমার মায়ের খোজ-খবর নেয় এবং তিনি কেমন আছেন জানতে | মাঝে মাঝে বাড়িতেও আসে। আমার ধারণা তারা আমার সাথে ঠাট্টা করবে না এবং বুঝবে।

কেয়ারগিভার :
এখন সপ্তাহান্ত সম্পর্কে। আপনি কি পড়াশোনার জন্য সময় বের করতে পারবেন ?
ছেলেঃ
শনিবার সকালে সাধারণত কাজকর্ম নিয়ে বাইরে যাওয়া হয়। এবং তার উপর ঘরটি কখনও শান্ত থাকে না। ছোট বাচ্চারা সবসময় বাইরে চলে আসে এবং তারপরে সেখানে লোকজনও থাকে।
কেয়ারগিভার:
পড়াশোনার জন্য বাড়িতে থাকতে হবে?
ছেলেঃ
হয়তো আমি লাইব্রেরি খোলা পাবো, আর নাইলে আমি ভার্সিটির মাঠে যেতে পারি। এটি সর্বদা শান্ত থাকে। আমি কিছু স্ন্যাকস নিয়ে গাছের নীচে ছায়ায় বসে পড়তে পারি।
কেয়ারগিভার
এটি ভালো যে আপনি এই সমস্যার এতগুলো সমাধান সম্পর্কে ভাবতে সক্ষম হয়েছেন। আপনার মা ঠিকই বলেছেন। আপনি একটি উজ্জ্বল ছেলে। এখন আমি আপনার ছোট ভাইদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাদের বয়স কত?
ছেলেঃ
আমার পরের জনের বয়স তের, এবং তারপরে দুই জন ৭ বছর, তারা জমজ।
কেয়ারগিভার :
যিনি তের বছর করছেন ভালো তিনিও কি স্কুলে -?
ছেলেঃ
সে খুব চেষ্টা করে। তার গ্রেডগুলো আমার মতো প্রায় ভালো হয়েছে। সে সম্ভবত আরও ভালো করতে পারে।
কেয়ারগিভার :
যখন আপনার মায়ের পিঠে সমস্যা শুরু হয়েছিল তখন আপনার বয়স কত ছিল?
ছেলেঃ
প্রায় চৌদ্দ।
কেয়ারগিভার:
আর আপনাকে সেই বয়স থেকেই সমস্ত কাজ শুরু করতে হয়েছিলো?
ছেলেঃ
জ্বি।
কেয়ারগিভার
আমি কেবল ভাবছিলাম যে আপনার ভাইটিও যদি আপনার মত মেধাবী ছেলে হয় এবং যেহেতু সে প্রায় চৌদ্দ বছর বয়সী, সম্ভবত সে বাড়ির আরও বেশী দায়িত্ব নেয়া শুরু করতে পারে। আপনি এ ব্যপারে কী ভাবছেন?
ছেলেঃ
আমি সবসময় তাকে খুব অল্প বয়সী বলেই ভেবেছি। তবে, আমি যদি তার বয়সে কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারি আমি নিশ্চিত যে সেও সামলে নিতে পারবে। সম্ভবত আমরা রান্না এবং অন্যান্য কাজ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। আমার পক্ষে আরও বিশ্রাম এবং অধ্যয়নের জন্য আরও সময় পাওয়ার এটি অন্য উপায়।

কেয়ারগিভার
উল্লিখিত সমস্ত বিকল্প সমাধান মাথায় রেখে আমি নিশ্চিত যে আপনার পড়াশোনা নিয়ে আর কোনোও সমস্যা হবে না তবে আপনি বা আপনার পরিবারের কোনোও সদস্যের সমস্যা থাকলে দয়া করে আমার কাছে নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। এখন, আপনি চলে যাওয়ার আগে দয়া করে আপনার সমস্যাগুলো সমাধান করতে আপনি যা করতে যাচ্ছেন | সে সম্পর্কে আমাকে মনে করিয়ে দিন। এটি আমাদের নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে যে আমরা কোনোও কিছুই ভুলে যাইনি এবং আমরা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
ছেলেঃ
প্রথমে আমার আরও বিশ্রাম নেওয়া এবং পড়াশোনার জন্য আরও ভালো সময় বের করা দরকার। আমি প্রায় এক ঘণ্টা ক্লাসের পরে থাকব যাতে আমি দিনের আলোতে পড়তে পারি। তারপর সপ্তাহান্তে আমি ভার্সিটির লাইব্রেরী বা মাঠে পড়তে যাব। বাড়িতে আমি আমার ছোট ভাইকে আমার সাথে রান্না করা এবং অন্যান্য কাজকর্ম করার জন্য সময় ভাগ করে নিবো।
কেয়ারগিভার:
ধন্যবাদ। সেটা খুব ভালো। আপনার মাকে আমার শুভেচ্ছা দিবেন।
ছেলেঃ
জ্বি অবশ্যই। আপনার সাহায্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বিদায়।
মন্তব্য:
এই উদাহরণে কেয়ারগিভার কখনই ধরে নেননি যে তিনি পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত ছেলেটির সমস্যা বুঝতে পেরেছেন। তিনি কখনই ছেলেটিকে পরামর্শ নিতে বাধ্য করেননি। তিনি ছেলেটিকে সর্বদা তার সমস্যা সম্পর্কে ভাবতে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকে নিতে উত্সাহিত করেছিলেন। তিনি এমন সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন যা সমস্যাটির কারণ সম্পর্কে ছেলেটিকে সাবধানে এবং গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করতে সহায়তা করেছিল।
আরও দেখুনঃ