আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় প্রথম অধ্যায় ব্যবহারিক – যা প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রথম অধ্যায় ব্যবহারিক

জব ১: সিপিজার শুরুর আগে প্রারম্ভিকভাবে করণীয় ধাপ
পারদর্শিতার মানদন্ড
- স্থাবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও পোশাক পরিধান করা;
- প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
- জ অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়্যাল সিলেক্ট ও কালেক্ট করা;
- কাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা ;
- অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা ;
- নষ্ট মালামাল (wastage) এবং ক্ষ্যাপগুলো (scrap) নির্ধারিত স্থানে ফেলা
- কাজ শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত সুরক্ষ সংগ্রাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস ইকুইপমেন্ট ও মেশিন): ফার্স্ট এইড কিটের অন্তর্ভুক্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
কাজের ধারা
ধাপ-১। কাউকে অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখনে প্রথমেই চিত্কার করে অন্য কাউকে ডেকে নাও। কারণ দুজন হলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
ধাপ–২। আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের অবস্থা দে না ।
ধাপ-৩। আক্রান্ত ব্যক্তির বিপদসংকুল পরিবেশ থাকলে তা নিশ্চিত কর যেমন: বৈদ্যুতিক তার বা কোন বিষাক্ত কিছুর উপস্থিতি। যদি থাকে তাহলে তা আগে সরিয়ে দিন যাতে তুমি নিজেই সমস্যায় না পড়েন।
ধাপ-৪। এরপর আক্রান্ত ব্যাক্তির কাঁধে একটা চাপড় দিন, দিয়ে জিজ্ঞেস কর আর ইউ তাকে? মানে সব ঠিকঠাক কিনা।
ধাপ-৫। নিশ্চিত হোন যে লোকটার আসলেই সাহায্য লাগবে কীনা? যদি তার সাহায্য চাওয়ার ম অবস্থা না থাকে তবেই সাহায্য করা শুরু কর ।
ধাপ-৬। সাহায্যের জন্য এ্যাম্বুলেন্সে একটি ফোন দিয়ে রাখ।
ধাপ – ৭। সিপিআর এর মূল উদ্দেশ্য তথা নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে আশে পাশে লোকজনের তীর থাকলে তাদেরকে সরিয়ে দিন।
ধাপ-৮। এর পরে দেখুন আক্রান্ত ব্যক্তির জ্ঞান আছে কিনা এবং তাঁর मা চলছে কিনা।
ধাপ-৯। জ্ঞান থাকলে তাকে স্বাভাবিকভাবে চিৎ করে শুইয়ে দিন যাতে তিনি স্থিরভাবে শ্বাস নিতে পারেন।
ধাপ-১০। न न আঁকলে সিপিআর পি অনুযায়ী পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ কর।

জব-২: অজ্ঞান ব্যাক্তিকে থাপানুসারে সিপিজার দেওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ
ধাপ-১। অজ্ঞান ব্যাক্তিকে চিত করে শুইয়ে দিন।
ধাপ-২। তারপর রোগীর পালস আছে কিনা এবং রোগীর নাকের কাছে কান নিয়ে অথবা বুকের উঠা-নামা দেখো নিচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে নাও।
ধাপ-৩ আক্রান্ত ব্যাক্তির শ্বাস নেয়ার পথ যেমন- নাক মুখ গলার ভিতরের অংশ পরিষ্কার আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
ধাপ-৪। মাথা পিছনের দিকে টেনে, খুঁতনি উপরের দিকে তুলে चাসনালী খুলে দিন।
ধাপ-৫। যদি কফ/রক্ত বা অন্য কোন কিছু গলা, নাক অথবা মুখে আটকে থাকে তবে তা সরিয়ে শ্বাস নেয়ার পথ করে দিন এবং সিপিআর প্রয়োগ শুরু কর।
ধাপ-৬। ব্যক্তির এক পাশে এসে বুক বরাবর বসে একটি হাত হাত প্রসারিত করে অন্য হাতের আঙ্গুলের সাথে লক তৈরি কর।
ধাপ-৭। হাতের তালুর উঁচু অংশটি বুকের মাঝ একটু বাম দিকে স্থাপন কর ।
ধাপ-৮। হাতের কনুই ভাঁজ না করে সোজা ভাবে বুকের উপর চাপ দিতে থাকুনযেন প্রতি মিনিটে ১০০ থেকে ১২০ টি চাপ প্রয়োগ করা যায়। এমনভাবে চাপ দিন যেন ২ থেকে ২.৫ ইঞ্চি দেবে যায়।
ধাপ-৯। এভাৰে ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর রোগীর কপাল ও থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটি খুলে নাও এবং মুখ দিয়ে মুখে জোরে জোরে দু’বার রেস্কিট রেথ অথবা শ্বাস দিন। শ্বাস দেওয়ার সময় বুকের উঠা-নাगा
ধাপ-১০। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বা জ্ঞান ফিরে আসা অথবা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হওয়া পর্যন্ত একইভাবে সিপিজার চালাতে থাকুন।

অর্জিত দক্ষতা/ফলাফল:
- প্রশিক্ষনার্থী এই কাজটি ভালোভাবে কয়েকবার অনুসরণ করার সিপিআর শুরুর আগে প্রারম্ভিকভাবে করণীয় ধাপ সম্পন্ন করতে পারবে।
ফলাফল বিশ্লেষন ও মন্তব্যঃ আশাকরি বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।
আরও দেখুন: