আজকের আলোচনার বিষয়ঃ বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং মেথড। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং মেথড
১। ফ্যামিলি বা পরিবার থেরাপি (Family Therapy):
পারিবারিক থেরাপি হল এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ (সাইকোথেরাপি) যা পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ উন্নত করতে এবং দ্বন্দ্ব সমাধান করতে সহায়তা করতে পারে।
২। হিউম্যানিষ্টিক বা মানবতামূলক (Humanistic Therapy):
হিউম্যানিস্টিক থেরাপি একটি মানসিক স্বাস্থ্য পদ্ধতি যা সর্বাধিক পরিপূরক জীবন যাপনের জন্য ব্যক্তির প্রকৃত নিজ সত্ত্বার গুরুত্বকে জোর দেয়। ‘প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব একটা ধরন আছে পৃথিবীকে দেখার ও বুঝার’-এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করে এই ধরনের থেরাপি পরিচালিত হয়।

৩। মাইন্ডফুলনেস (Mindfulness):
মাইন্ডফুলনেস মানে হ’ল মৃদু, লালনশীল দৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, শারীরিক সংবেদন এবং পার্শ্ববর্তী পরিবেশের সচেতনতা প্রতিটি মূহুর্তে বজায় রাখা। যখন আমরা মননশীলতা অনুশীলন করি, আমাদের ধারণাগুলো তখন অতীতের পুনর্বিবেচনা বা ভবিষ্যতের কল্পনা করার পরিবর্তে বর্তমান মুহুর্তে আমরা কী নিয়ে সংবেদনশীল সেই বিষয়ে মনোনিবেশ করে।
৪। পারসন সেনটার্ড বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক থেরাপি (Person Centered Therapy):
এক্ষেত্রে কাউন্সেলিং-এর মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগিয়ে কাউন্সেলর এর দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাভাবনাকে প্রধান্য না দিয়ে ব্যক্তি বা সেবাগ্রহীতা কিভাবে নিজেকে সচেতনভাবে উপলব্ধি করে সেই বিষয়ে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। ব্যক্তি কেন্দ্রিক থেরাপি বা কাউন্সেলিং এমন একটি কৌশল যেখানে ব্যক্তিকে একজন এক্সপার্ট হিসেবে দেখা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ইনফরমশন শিট ২ এ।

৫। প্রাইমাল বা প্রাথমিক/আদিম থেরাপি (Primal Therapy):
সাইকোথেরাপির একটি ফর্ম যা রোগীর জীবনের শুরুর দিকের আবেগগত অভিজ্ঞতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং শৈশবকালীন দুর্ভোগের মৌখিক প্রকাশকে উত্সাহ দেয়। সাধারণত খালি চেয়ার ব্যবহার করে বা অন্য কোনোওভাবে যেই অভিভাবকরে প্রতি তার ক্রোধ বিদ্যমান আছে সেই অভিভাবককে কাল্পনিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করানোর মাধ্যমে এটি করা হয়।
আরও দেখুনঃ