আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ভাইটাল সাইন। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা অংশের অন্তর্গত।

ভাইটাল সাইন
ভাইটাল সাইন বাঁ অত্যাবশ্যকীয় লক্ষণ হল কোনো ব্যক্তি বাঁ রোগীকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় কতগুলো শরিরবৃত্তীয় সাইন বাঁ লক্ষণ। এই পরিমাপগুলো একজন ব্যক্তির সাধারণ শারীরিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। মূলত চার ধরনের ভাই-টাল সাইন আছে যথা: তাপমাত্রা, স্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার এবং রক্তচাপ। কোনো ব্যক্তির দেহে ভাই-টাল সাইনগুলো স্বাভাবিক পরিমাপের চেয়ে কম বাঁ বেশি হয়ে গেলে সেটি নির্দিষ্ট কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছে বলে ধরে নেয়া যায়। তখন চিকিৎসক আরো উন্নত পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন। প্রধান ৪ প্রকার ভাই-টাল সাইন নিম্নরূপ :

বিভিন্ন ধরনের ভাইটাল সাইন্স
|
ভাইটাল সাইনের নাম |
সহজে মনে রাখার উপায় |
| ১। তাপমাত্রা (Temperature) | T (Temperature) |
| ২। নাড়ির স্পন্দন (pulse / heart rate) | P (Pulse) |
| ৩। শ্বাস-প্রশ্বাস (Respiratory rate) | R (Respiration) |
| ৪। রক্তচাপ (Blood Pressure) | BP (Blood Pressure) |
এর পাশাপাশি আমরা মানবদেহের উচ্চতা ও ওজন, বিএমআই, দেহে তরল পদার্থের ইনটেক ও আউটপুট, রক্তের শর্করা ও অক্সিজেনের পরিমাণও নির্নয় করে থাকি।

ভাইটাল সাইন পরিমাপের গুরুত্ব (Imporance of Measuring Vital Signs )
রোগীর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো বা ভাই-টাল সাইন পর্যবেক্ষণ করা চিকিৎসা পেশাদারদের মধ্যে একটি সাধারণ অনুশীলন। স্বাস্থ্যসেবায় এর বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। যেমন:
১। রোগীর স্বাস্থ্য এবং ক্লিনিকাল ফলাফলগুলোতে মূল ভূমিকা পালন করে।
২। নিয়মিতভাবে লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্যসেবা কাজে নিয়োজিত পেশাদারগণ রোগীর অবস্থার পরিবর্তন সনাক্ত করতে পারেন।
৩। এটি প্রাথমিকভাবে রোগীর অবনতি সনাক্ত করতে এবং রোগীর ক্ষতি করতে পারে এমন সমস্যাগুলো
প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৪। গুরুতর লক্ষণগুলোর পরিবর্তন দ্রুত সনাক্তকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫। হেল্থ স্ক্রিনিং-এ কোনো ব্যত্যয় ঘটলে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব ঘটে এবং রোগীর আরোগ্যকে প্রলম্বিত করে ও মারাত্বক স্বাস্থ্যঝুকির সন্মুখিন হয়। সুতরাং, ভাই-টাল সাইন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় এক অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে।
আরও দেখুনঃ