আজকে আমরা আলোচনা করবো ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায়। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায়
যোগাযোগ বলতে আমরা একে অপরের সাথে ভাবের এবং তথ্যের আদান প্রদানকে বুঝে থাকি। Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে, যোগাযোগ বলতে বুঝায় কোনো কিছু জ্ঞাত করা, প্রদান করা এবং অংশ গ্রহণ করা।

ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিম্নের বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হয় :
সার্বিক বিষয় আয়ত্ব করা:
যেকোনো যোগাযোগ (আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক) শুরু করতে হলে সার্বিক বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা জরুরি, নচেৎযোগাযোগের উদ্দেশ্য ফলপ্রস্যু হয়না।
পরিবেশ:
অপজিশন পার্টি বা প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ সূচনার পূর্বে সার্বিক পরিবেশের উপর খেয়াল দেওয়া উচিৎ। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে যোগাযোগের ধরন যদি সময়োপযোগী না করা হয় তাহলে হিতে বিপরতীত হতে পারে।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণ:
যোগাযোগ কি জন্য করা হচ্ছে তার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। সম্ভব হলে যার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাকে এবিষয়ে আগে থেকেই অবহিত করা জরুরি। তা না হলে ভালো ফল বা কাঙ্খিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়না ।
শারীরিক ভাষা:
ফেস টু ফেস বা সরাসরি সাক্ষাতে যোগাযোগ করলে শারীরিক ভাষা হতে হবে স্বাভাবিক। অতিরিক্ত স্মার্ট, চনমনে ভাব কিংবা আগ্রাসী বা উগ্রভাব পরিহার করা বাঞ্চণীয়।

মনোযোগ ধরে রাখা:
যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।যোগাযোগে পূর্ণ মনোযোগ না থাকলে অনেকগুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনেক সময় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না বা মিসড হয়ে যেতে পারে।
কাঙ্খিত বা নির্ধারিত বিষয়ে প্রশ্ন সাজানো:
যোগাযোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে হলে কাঙ্খিত বিষয়ে যথা সম্ভব আগে থেকেই প্রশ্ন তৈরি করে রাখতে হবে।

প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা:
প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও জরুরি।
গোপনীয়তা:
যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে, যাতে তথ্য দাতার মনে কোনোরূপ ভয় বা চিন্তা উদয় না হয় ।
আরও দেখুনঃ