রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কি?

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কি? যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা অংশের অন্তর্গত।

 

 রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কি?

 

 রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কি?

হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনীর মধ্য দিয়ে সমগ্র শরীরে প্রবাহিত হওয়ার সময় ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে যে পার্শ্বচাপ বা প্রেসার উৎপন্ন করে, তাকে রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার বলে। তাই রক্তচাপ বলতে সাধারণভাবে ধমনির রক্তচাপকেই বুঝানো হয়। এটি মানবদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেহকোষে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত হয়। রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা, ধমনির প্রাচীরের স্থিতিস্থাপকতা, রক্তের ঘনত্ব ও পরিমাপের উপর নির্ভর করে। আমরা ইতোমধ্যেই হৃৎপিণ্ডের ঘটন সম্পর্কে জেনেছি।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

হৃৎপিণ্ডের স্বতস্ফূর্ত সংকোচনকে সিস্টোল (Systole) এবং স্বতস্ফূর্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল (Diastole) বলে। অলিন্দে যখন সিস্টোল হয়, নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। নিলয়ের সিস্টোল অবস্থায় ধমনিতে যে চাপ থাকে তাকে সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং ডায়াস্টোল অবস্থায় যে চাপ থাকে, তাকে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলে। সিস্টোলিক চাপ ওপরে এবং ডায়াস্টোলিক চাপ নিচে লিখে রক্তচাপ প্রকাশ করা হয়।

যেমন, ১২০/৮০ মি.মি. পারদ চাপ ( mmHgP) বলতে বুঝায় সিস্টোলিক চাপ ১২০ এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মি.মি. পারদ চাপ। এটি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ মানুষের আদর্শ রক্তচাপ। স্বাভাবিক ও সুস্থ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সিস্টোলিক রক্তচাপের পাল্লা পারদস্তম্ভের ১১০-১৪০ মিলিমিটার এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ পারদ স্তম্ভের ৬০-৯০ মিলিমিটার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্ব বাহুর ব্র্যাকিয়াল ধমনিতে নির্দিষ্ট উপায়ে রক্তচাপ পরিমাপ করা যায়। এছাড়াও শরীরের আরো কিছু স্থানে রক্তচাপ মাপা যায়। স্ফিগমোমেনোমিটার নামক যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ নির্ণয় করা হয়।

 

 রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কি?

 

রক্তচাপের সারণী

শ্রেণিবিভাগ সিস্টোলিক ডায়াস্টোলিক
সাধারণ ১২০ ৮০
উচ্চ রক্তচাপের পূর্বাবস্থা (প্রি-হাইপারটেনশেন) ১২০-১৩৯ ৮০-৮৯
উচ্চ রক্তচাপ পর্যায় ১ ১৪০-১৫৯ ৯০-৯৯
উচ্চ রক্তচাপ পর্যায় ২ ১৬০ বা তার বেশি ১০০ বা তার বেশি
মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস) ১৮০ বা তার বেশি ১১০ বা তার বেশি

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment