আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় রোগীকে গোসল করাতে সহযোগীতা করা – যা দৈনন্দিন কর্মকান্ডে সহযোগিতা এর অন্তর্ভুক্ত।
রোগীকে গোসল করাতে সহযোগীতা করা
বয়স্ক কিংবা বাচ্চারা নিজে নিজে গোসল করতে পারেনা। নিয়মিত গোসলের অভাবে রোগীর ত্বকে বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ দেখা দেয়। শরীরে দুর্গন্ধের তৈরি হয়। মেজাজ খিটখিটে লাগে। এমনকি খাবারেও অরুচির তৈরি হয়। ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। যার ফলে ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে বসে। তাই রোগীকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গোসল করানো একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নিচে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।
বয়স ও প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রাহকের গোসলের পদ্ধতি
ব্যক্তির কতটা সহায়তা ও তদারকি প্রয়োজন, তার গোসলের রুটিন, তার জন্য পছন্দনীয় বা উপযুক্ত গোসলের পদ্ধতি সম্পর্কে, ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে এবং তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের ফাইল দেখে জেনে নিয়ে কাজ করতে হবে।
শাওয়ার ৰাজ/টাৰ বাঘ (সম্পূৰ্ণ গোসল)
গোসলের পূর্ব প্রস্তুতি:
১। পুরুষ রোগীকে পুরুষ কেয়ারপিতারদের দ্বারা গোসল করিয়ে দেওয়া উচিত।
২। মহিলা রোগীকে মহিলা কেয়ারগিভারদের দ্বারা গোসল করিয়ে দেওয়া উচিত।
৩। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে।
৪। দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে, স্থান বদলানোর সময় একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন হতে পারে।
৫। যদি প্রয়োজন হয়, তবে টাবের পাশেই একটি চেয়ারে রেখে টাবের ভিতরে যাওয়া ও টাব থেকে উঠে আসার জন্য সহায়তা করতে হবে।
৬। শাওয়ারে গোসলের ক্ষেত্রে, একটি শাওয়ার চেয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭। ব্যক্তি হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী হলে, ব্যক্তিকে টাবে বা শাওয়ার চেয়ারে নেয়ার পর হুইলচেয়ারটি সরিয়ে ফেলতে হবে।
৮। ঘরটি উষ্ণ এবং আবর্জনামুক্ত হওয়া উচিত।
৯। প্রয়োজনে ব্যবহারের আগে টাব পরিষ্কার করে নিতে
১০। পানি দিয়ে টাৰ অর্ধেক ভরাট করে নিতে হবে।
১১। ব্যক্তিকে টাব বা ঝরণাতে দেওয়ার আগে পানির তাপমাত্রা কনুই দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে। পানির
তাপমাত্রা খুব বেশি হলে পুড়ে যেতে পারে।
১২। কম ফেনা হয় বা সহজে ধুয়ে যায় এমন সাৰান নির্বাচন করতে হবে। মেডিকেটেড সাবান হলে উত্তম।
১৩। ব্যক্তির আগে গোসলের জায়গায় সমস্ত সরঞ্জাম আছে কিনা লক্ষ্য করতে হবে ।
প্রক্রিয়া:
১। যতটা সম্ভৰ গোপনীয়তা বজায় রেখে, প্রয়োজন মতো পোশাক অপসারণ করতে ব্যক্তিটিকে সহায়তা করে সাথে সাথেই ত্বক পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ত্বকের কোনো সমস্যা লক্ষ্য করলে তা ফাইলে রেকর্ড করতে হবে।
২। হাত ধুয়ে শুকিয়ে গ্লাভস পরতে হবে।
৩। পানির তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পরে ব্যক্তিকে টাবে বা শাওয়ারেও যেতে সহায়তা করতে হবে।
৪। যদি সম্পূর্ণ সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে:

১। হাতের চারপাশে একটি ওয়াশ রুদ্ধ পেঁচিয়ে নাও অথবা নরম ফাব ফোন বা স্পঞ্জ হাতে নিতে হবে।
২। চোখের অঞ্চল থেকে পরিষ্কার করা শুরু করে ওয়াশ ক্লথ বা নরম ফাৰ ফোম বা স্পঞ্জে সাবান লাগিয়ে নিতে হবে।
৩। পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী মুখমণ্ডল, চোখ, হাত, পা, বগল পরিষ্কার করতে হবে ।
৪। গোপনাঙ্গ ধোয়া শেষ করতে হবে।
৫। ত্বকের দুটি পৃষ্ঠতল যেখানে মিলবে সেখানে ভালোভাবে পরিষ্কারের ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে (যেমন- গুনের নীচে, পায়ের আঙুলের মধ্যে, উরুর মাঝে)।
৬। প্রয়োজনে চুলে শ্যাম্পু করে চুল ভালো করেও ধুরে ফেলতে হবে।
৭। টাৰ বা ঝরণা থেকে ব্যক্তিটিকে পিচ্ছিল রোধক পাপোষের উপরে জানতে সাহায্য করতে হবে।
৮। টাব বা শাওয়ারের পাশে রাখা চেয়ারে তাকে বসতে সহায়ত করতে হবে।
১০। চুপসহ সম্পূর্ণ শরীর শুকাতে সহায়তা করতে হবে। প্রয়োজনে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
১১। পোশাক পরিচ্ছদের নিয়মাবলি অনুসরণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে হবে।
১২ । ব্যক্তিকে তার কক্ষে নিয়ে সাথে যেতে হবে।
বেডবাধ/ম্পৰাধ (আংশিক গোসল)
গোসলের পূর্ব প্রস্তুতি:
১। কখনও কখনও সম্পুর্ণ বাঘ একটি রোগীর জন্য খুব ক্লান্তিকর হয়। ভাই, মুখ, হাত, বগল, যৌনা, পিঠ এবং
নিজস্বকে অন্তর্ভুক্ত করে আংশিক গোসল বা বেডৰাথ বা স্পঞ্জবান দেওয়া যেতে পারে।
২। গোসলের সময় রোগীর অবস্থান তার শারীরিক অবস্থা এবং তার চলাফেরার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
৩। শরীরে কোনো ব্যান্ডেজ থাকলে, ঐ স্থানের ত্বক পরিষ্কারের জন্য ব্যান্ডের অপসারণ করা যাবে কিনা এবং সেগুলো পুনরায় লাগিয়ে দিতে হবে কিনা তা আগে থেকেই চিকিৎসার ফাইল থেকে জেনে নিতে হবে।
৪। দু’টি বড় বোলে গরম পানি ভরে নিতে হবে। একটি পরিষ্কার করে ধোয়ার জন্য এবং অন্যটি মুছার জন্য ব্যবহৃত হয়। পানির তাপমাত্রা ৯০-১০৫০ F হতে হয়। পানির তাপমাত্রা কনুই দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
৫। ঘরটি উষ্ণ এবং আবৰ্জনাযুক্ত হওয়া উচিত।
৬। কম ফেনা হয় বা সহজে ধুয়ে দেওয়া যায় এমন সাবান ও শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে। মেডিকেটেড সাবান ও শ্যাম্পু হলে উত্তমাশ্যাম্পু করার সময় বিছানাটি ভিজে যাওয়ার হাত থেকে বাচাতে রোগীর মাথার নিচে একটি অতিরিক্ত গামছা রেখে দিতে হবে।
৭। ব্যক্তিকে জানার আগে গোসলের জায়গায় সময় সরজান আছে কিনা লক্ষ্য করতে হবে।
৮। তিনটি পরিষ্কার তোয়ালে এবং দুইটি ওয়াশ রুথ প্রভুত রাখতে হবে ।
৯। তোয়ালে, ওয়াশরুথ, পানির বোল এবং সাৰান কোনো পৰেল ট্রলিতে হাতের কাছে রাখা যেতে পারে।
১০। রোগীর পিঠের নীচে দুটি তোয়ালে রেখে বিছানা ভিজে যাওয়া রোধ করতে হবে এবং প্রক্রিয়া চলাকালীন রোগীকে আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে হবে।
১১। রোগীকে একটি পরিষ্কার নিট বা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে

১২। রোগীর পোশাক অপসারণ করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে যে এই ধাপটি কিছু রোগীর জন্য বিব্রতকর হতে পারে, তাই দ্রুত এবং উদ্দেশ্যমূলক মনোভাবের সাথে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে

প্রক্রিয়া:
১। যতটা সম্ভব গোপনীয়তা বজায় রেখে প্রয়োজন মতো পোশাক অপসারণ করতে ব্যক্তিটিকে সহায়তা করতে হবে। সাথে ত্বক পর্যবেক্ষণ করে নিতে হবে এবং ত্বকের কোনো সমস্যা লক্ষ্য করলে তা ফাইলে রেকর্ড করতে হবে।
২। হাত ধুয়ে শুকিয়ে গ্লাভস পরতে হবে।
৩। সম্ভব হলে নিরাপদ উচ্চতায় বিছানা উঠিয়ে নিতে হবে। সম্ভব না হলে, মাথার নিচে বেশি বালিশ দিয়ে নিরাপদ উচ্চতায় রোগীকে উঠিয়ে নেয়া যেতে পারে।
৪। তোয়ালে এবং / অথবা ডিসপোজেবল প্যাড দিয়ে বিছানাপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। যেখানে কাজ করা হবে সেই জায়গার নীচে একটি তোয়ালে রাখতে হবে।
৫। গোসলের আগে রোগীকে বিছানায় ইউরিনাল সরবরাহ করে তাতে মূত্রত্যাগ করতে বলতে হবে।
৬। রোগীকে একটি পরিষ্কার শিট বা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যে অংশটি পরিষ্কার করা হবে কেবল সেখানকার শিট বা তোয়ালে এবং পোশাক সরিয়ে ফেলতে হবে।
৭। বিছানায় গোসলের সময় বোলের পানি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিবার যখন বোলের পানি পরিবর্তন করা হবে, তখন সর্বদা পানির তাপমাত্রা পুনরায় পরীক্ষা করে নিতে হবে।
৮। হাতের চারপাশে একটি ওয়াশ ক্লথ পেঁচিয়ে নিয়ে অথবা নরম স্ক্রাব ফোম বা স্পঞ্জ হাতে নিয়ে নিতে হবে। প্রথমে চোখ থেকে শুরু করতে হবে। পরিষ্কার হালকা গরম পানিতে পাতলা ছোট রুমাল ভিজিয়ে চোখের পরিধি (চোখের চারপাশের বৃত্তাকার অঞ্চল) ভালোভাবে মুছে দিতে হবে।
জ্বালাপোড়া এড়ানোর উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। চোখের ভিতরের কোণা থেকে বাইরের কোণার দিকে হাতের রুমালটি পরিচালিত করতে হবে।
৯। পুরো শরীরের জন্য একই পরিষ্কারকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে রোগীর ত্বকে সাবান বা সাবান পানি প্রয়োগ করতে হবে। ময়লা এবং ব্যাকটিরিয়া অপসারণ করতে ১ম ওয়াশ ক্লথ দিয়ে আলতো করে স্ক্রাব করে একটি পানির বোলে ওয়াশ ক্লথ রাখতে হবে।
অপর পানির বোলে দ্বিতীয় ওয়াশক্লথ ভিজিয়ে ভালোমত চিপে নিয়ে শরীরের সাবান মুছে ফেলতে হবে। তোয়ালে দিয়ে ভেজা জায়গাগুলো শুকনো করে নিতে হবে। ওয়াশ ক্লথগুলো যদি বেশি ময়লা হয়ে যায় তবে পরিষ্কার করে বদলিয়ে নাওতে হবে।
১০। ধীরে ধীরে সাবান পানি দিয়ে রোগীর মুখ, কান এবং ঘাড় ধুয়ে ফেলতে হবে। আলাদা ওয়াশ ক্লথ দিয়ে
সাবান মুছে ফেলে তোয়ালে দিয়ে ভেজা জায়গাগুলো শুকনো করতে হবে।
২। রোগীর বাম হাত এবং কাঁধ ধুয়ে নিতে হবে- শরীরের বামদিকে শীটটি নীচে পশ্চাদ দেশ পর্যন্ত ভাঁজ করে উন্মুক্ত বাহুর নীচে একটি তোয়ালে রাখতে হবে। রোগীর কাঁধ, বগল, বাহু এবং হাত ধুয়ে মুছে ফেলে তোয়ালে দিয়ে ভেজা জায়গা গুলো শুকনো করতে হবে। রোগীকে উষ্ণ রাখতে শীটটি নিয়ে পুনরায় ঢেকে দিতে হবে।

১২। রোগীর ডানহাত এবং কাঁধ ধুয়ে নিতে হবে- শরীরের ডানদিকে শীটটি নীচের পশ্চাদেশ পর্যন্ত ভাঁজ করে উন্মুক্ত বাহুর নীচে একটি তোয়ালে রাখতে হবে। রোগীর কাঁধ, বগল, বাহু এবং হাত ধুয়ে মুছে ফেলতে হবে। তোয়ালে দিয়ে ভেজা জায়গাগুলো শুকনো করে রোগীকে উষ্ণ রাখতে শীটটি দিয়ে পুনরায় ঢেকে দিতে হবে।
১৩। রোগীর খড় ধুয়ে ফেলতে হবে- শীটটি কোমরের নিচে ভাঁজ করে ধীরে ধীরে বুক, পেট এবং পাশগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে। রোগীর ত্বকের যে কোনো ভাঁজগুলোর মধ্যে যেহেতু ব্যাকটিরিয়া আটকা পড়ে, তাই সেখানে সাবধানে ধুয়ে ফেলতে ভুলা যাবেনা। তোয়ালে দিয়ে ভেজা জায়গাগুলো শুকনো করতে হবে। রোগীকে উষ্ণ রাখতে শীটটি দিয়ে পুনরায় ঢেকে দিন।
১৪। রোগীর পা ধুয়ে ফেলতে হবে- রোগীর ডান পায়ের কোমর পর্যন্ত উন্মুক্ত করে পা ধুয়ে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। ডান পা শীটটি দিয়ে পুনরায় ঢেকে দিয়ে বাম পা উন্মুক্ত করে ধুয়ে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। বাম পা শাঁটাট দিয়ে পুনরায় ঢেকে দিতে হবে।
১৫। পিঠ ও নিতম্ব পরিষ্কার করতে হবে- পানির বোল গুলো খালি করে পরিষ্কার পানি দিয়ে পুনরায় ভরে নিতে হবে। সম্ভব হলে তাদেরকে এক পাশে ফিরিরে রোগীর পিঠ এবং নিতম্ব ধুয়ে দিতে হবে। রোগীর পুরো পেছনের অংশটি উন্মুক্ত করতে পীটটি ভাঁজ করে রোগীর পিঠ, নিতম্ব এবং পা গুলো ধুয়ে মুছে শুকিয়ে ফেলতে হবে।
১৬। গোপনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হবে।
১৭। রোগীর চুল ধুয়ে-মুছে শুকিয়ে ফেলতে হবে ।
১৮। কাজ শেষ হয়ে গেলে, রোগীকে পরিষ্কার কাপড় পরাতে হবে। প্রবীণদের ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার ঝোঁক থাকে, তাই কাপড় পরানোর আগে হাত এবং পায়ে লোশন লাগিয়ে দিতে হবে।
১৯। ব্যক্তির চুল আঁচড়িয়ে প্রসাধনী এবং শরীরে অন্যান্য ব্যবহার্য পণ্যগুলো রোগীর পছন্দ অনুসারে প্রয়োগ
করতে হবে।
শ্যাম্পু করা
১। রোগীকে প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করতে হবে।
২। হাত ধুয়ে শুকিয়ে গ্লাস পরতে হবে।
৩।রোগীদের পছন্দনীয় পণ্যগুলো কি, তা জেনে নিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে, রোগীর কোন পণ্যগুলোতে অ্যালার্জি নেই।
৪। রোগীকে সোজা করে শোয়াতে হবে। রোগীর মাথা এবং কাঁধের নীচে একটি পানিরোধক প্যাড বা তোয়ালে রেখে এই অঞ্চলটি শুকনো এবং উষ্ণ রাখার জন্য কাঁধ এবং বুকের জায়গার উপরে একটি তোয়ালে রাখতে হবে। রোগীর বাকী অংশটি কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৫। রোগীর চোখ, কান এবং মুখ ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে। মগ ব্যবহার করে পরিষ্কার, উষ্ণ পানির মাধ্যমে চুলগুলো ভালোমত ভিজিয়ে নিতে হৰে
৬। হাতে শ্যাম্পু নিয়ে দুইভহাতে ঘষতে হবে। রোগীর মাথার সামনের দিক থেকে চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত শ্যাম্পু ম্যাসাজ করত হবে। আঙুলের মাথা দিয়ে বৃত্তাকার গতি ব্যবহার করে রোগীর মাথার ত্বকে শ্যাম্পু ম্যাসেজ করতে হবে। নখ দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বক ক্ষত হতে পারে।
৭। পানি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত চুল ধুতে থাকতে হবে। রোগীর চোখের ও কানের সুরক্ষার জন্য রোগীর কপালে মাথার ত্বক সোজাসুজি ধুয়ে ফেলতে হবে
৮। কন্ডিশনার ব্যবহার করা হলে পূর্বের তিনটি পদক্ষেপ পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
৯। শুকনো তোয়ালে ব্যবহার করে রোগীর মুখ, মাথা এবং ঘাড় থেকে পানি মুছতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপদ দূরত্ব থেকে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০। ব্রাশ ব্যবহার করে চুল আঁচড়ে দিতে হবে।
আরও দেখুন: