সাপের কামড়

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় সাপের কামড় – যা প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা এর অন্তর্ভুক্ত।

সাপের কামড়

 

সাপের কামড়

 

বাংলাদেশে প্রতি বছর সাপের কামড়ে অনেক মানুষ মারা যায়। সব সাপ বিষধর নয়। সাপের কামড়ে আমাদের দেশের প্রচলিত চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত নয়। সাপে কামড়ালে হাসপাতালে নিতে হবে; ওঝা বা গ্রাম্য কবিরাজ এদের কাছে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হয়েও অনেক মানুষ মারা যায়। জলাতঙ্ক একটি প্রাণঘাতী রোগ।

যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে এ রোগটি প্রতিরোধ সম্ভব। এছাড়া আমাদের দেশে আছে নানা ধরনের পোকা-মাকড় কীট-পতঙ্গ। একজন প্রাথমিক চিকিৎসক হিসেবে এ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা থাকা জরুরি ।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়

  • মৌমাচি, বোলতা, ভিমরুল, বিছা, গান্ধি পোকা, বিষ পিঁপড়া, মাকড়শা, কাঁকড়া। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড়ের কামড়ে মানুষ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।

বিভিন্ন প্রকার জীবজন্তু ও পোকা-মাকড়, স্পর্শ এবং হুল ফোটানোর প্রতিক্রিয়া :

  • ব্যথা, এলার্জি, চুলকানি, ফুলে যাওয়া, ফোসকা পড়া, জ্বর, রোগ সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, শক।
  • সময়মতো পরিচর্যা না করলে ত্বকে জটিলতা দেখা দিতে পারে, মারাত্মক অবস্থা ধারণ করে মৃত্যু ও হতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

কামড়ের স্থান সেভলন পানি অথবা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্ষত থাকলে তা গজ বা পাতলা শুকনো কাপড় দিয়ে জড়িয়ে হাসপাতালে নিতে হবে।

হুল ফোটার ক্ষেত্রে, হলের পরিমাণ যদি অল্প সংখ্যক ও দৃশ্যমান হয় তাহলে তা তুলে উপরোক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। হল তোলার জন্য ফরসেপ ব্যবহার না করা ভালো। ফরসেপ দিয়ে হল চেপে ধরার কারণে হুলের ভেতরের অবশিষ্ট বিষ শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই আইডি কার্ড বা পাতলা অথচ শক্ত কিছু দিয়ে এক পাশ থেকে ঘর্ষণের মতো করে হুল তোলা যেতে পারে।

জ্বালা পোড়াা ও ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ে বরফ জড়িয়ে আলতো ম্যাসেজ করা যেতে পারে । মনিটর করা- এলার্জিজনিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পাচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখা । যেমন শ্বাসনালিতে শব্দ, ত্বক লালচে হয়ে ফুলে ওঠা, চুলকানী। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি যদি ঠাণ্ডা পানি পান করতে পারে অথবা বরফ চুষতে পারে তা দেওয়া যাবে।

 

সাপের কামড়

 

সাবধানতা

  • এলার্জির কারণে যদি ব্যক্তির মুখমণ্ডল ফুলে ওঠে, শ্বাস কষ্ট দেখা দেয় তাহলে ঠাণ্ডা পানি পান করতে দিতে হবে। অসুবিধা বেশি হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment