আজকে আমরা সুষম খাদ্যতালিকা ও তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর খাদ্য ও পুষ্টির প্রাথমিক ধারণার প্রয়োগ অংশের অন্তর্গত।

সুষম খাদ্যতালিকা ও তার প্রয়োজনীয়তা
সুষম খাদ্যতালিকা হল এমন তালিকা যেখানে শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চৰ্বি, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, পানি এবং আঁশজাতীয় খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং সঠিক অনুপাতে অন্তর্ভুক্ত করে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকবে।

সুষম খাদ্য হল, যেই খাদ্যে সকল পুষ্টি উপাদান থাকে তা যেমন: দুধ। এই জাতীয় খাদ্য সুস্বাস্থ্যের প্রচার ও সংরক্ষণে সহায়তা করে। সুষম খাদ্য একজন ব্যক্তির জন্য রিকমেন্ডেড ডায়াটারী অ্যালাওএক্স (Recommended Dietary Allowances – RDA) পুরণ করে। RDA হল, সুস্বাস্থ্য বজার রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাবে বিবেচিত প্রতিদিন পুষ্টির (বা ক্যালোরি) আনুমানিক পরিমাণ। নতুন জ্ঞান প্রতিফলিত করার জন্য RDA পর্যায়ক্রমে আপডেট করা হয়।


সুষম খাদ্যের উপকারিতা
- স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে, শরীরের কার্যকারিতা উন্নত করে, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রোধ করে।
- পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। বৈচিত্র্যময়, সুষম খাদ্য পুষ্টির ঘাটতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাবার ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে পারে।
- বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করলে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা পদ্ধতি ভালোভাবে পরিচালনা করা যায়।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং স্ট্রেস দূর করতে সহায়তা করবে।
- অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি খাবার। পুষ্টি বৈশিষ্ট্য ছাড়াও, এটি ব্যক্তিদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক সহজতর করতে সাহায্য করে।
- চর্বিহীন মাংস এবং ক্ষিম দুগ্ধজাত পণ্য বেশি ব্যবহার করা উচিত। চর্বি বাদাম, বীজ, মাছ, জলপাই আকারে ভালো যখন তারা অন্যান্য পুষ্টির সাথে থাকে। রান্না করার সময় কিছু পরিমাণ চর্বি শরীরকে চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণ করতে সাহায্য করে।
আরও দেখুনঃ