যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদানসমূহ

আজকে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদানসমূহ আলোচনা করবো। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

 

যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদানসমূহ

 

যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদানসমূহ

যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে সফলভাবে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে গৃহীত কতগুলো ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড বা পদক্ষেপের সমষ্টিকে বুঝানো হয়। এই পদক্ষেপ বা কর্মকাণ্ডগুলোকে সহজ ভাষায় যোগাযোগ প্রক্রিয়ার উপাদান বলা হয় যেগুলোর মধ্যে প্রেরক, বার্তা, বার্তার এনকোডিং (Encoding), বার্তা গ্রহণকারী এবং বার্তাটির ডিকোডিং (Decoding)-এর মতো কতগুলো বিষয় জড়িত।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

নিচে যোগাযোগের এই সকল অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত জালোচনা করা হল:

১। সুত্র:

যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে পূর্বের কোনো সূত্র থাকলে তা উল্লেখ করা অত্যাবশ্যক। কেননা পূর্ব সূত্র কার্যকর বিষয়টির গতিশীলতা প্রদান করে। এই সূত্র হতে পারে শারীরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যক্তি কেন্দ্রিক কিংবা চিঠিপত্র বা দলিল পত্র।

২। প্রেরক (এনকোডার বা সেভার):

লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রেরক একটি গুরুত্বপুর্ণ ফ্যাক্ট। প্রেরকের সামাজিক পরিচিত্তি, ব্যক্তিগত পরিচিতি অনেক সময় তথ্য পেতে ভূমিকা রাখা এবং তথ্য দাতাকে প্রভাবিত করে।

 

যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদানসমূহ

 

৩। বার্তা বা ম্যাসেজ:

যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাৰ্তা বা ম্যাসেজ হলো মূল অনুসঙ্গ। বাৰ্তা হতে হবে ৰোষণম্য, সরলীকরণ এবং সু-স্পষ্ট। কোনো কিছু লোকানো বা কুটকৌশল অবলম্বন করা যাবে না। বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের প্রাসঙ্গিতা উল্লেখ করতে হবে। এবং কেন প্রয়োজন এবং কিকি কাজের যোগাযোগ করা
হচ্ছে তা উল্লেখ থাকবে।

৪। মাধ্যম:

কমিউনিকেশন ব্যবস্থার তৃতীয় কোনো মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয়। অনেক সমর হাতে হাতে কিংবা নিজে স্ব-শরীলেও যোগাযোগ স্থাপিত হতে পারে। বর্তমানে ইলেকট্রিক মাধ্যম জনপ্রিয়তার শীর্ষে।এছাড়া পূর্বের ন্যায় ডাক ব্যবস্থা প্রচলন আছে।

৫। প্রাপক বা ডিকোডার:

যার কাছ থেকে তুমি তথ্য পাৰে কিংবা যারকাছে বার্তা পাঠিয়েছ তাকে প্ৰাপক বা ডিকোডার বলে অর্থাৎ যিনি বা যে বা যন্ত্র তথ্য গ্রহণ করে তাকে প্ৰাণক বলা হয়। প্রাপকের কাছে তোমার প্রশ্ন পৌঁছা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রাপকের কাছে প্রশ্ন না পৌঁছালে তুমি তার থেকে প্রতিক্রিয়া পাৰে না।

 

যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদানসমূহ

 

৬। ফিডব্যাক:

ফিডব্যাক হলো তোমার জিশাসিত তমের উত্তরে প্রাপক যা বলেছে (রিপ্লাই প্রদান) করেছে তা। অর্থাৎ ফিডব্যাক হলো প্রশ্ন কর্তার উত্তরে প্রশ্নদাতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফিডব্যাক গুরুত্বগুণ। ফিডব্যাক না আসলে উপরের সবগুলো কর্ম ব্যর্থতার পর্যাবাসিত হবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment