যোগাযোগের বাধা

আজকে আমরা যোগাযোগের বাধা সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

 

কার্যকর যোগাযোগ বলতে কি বুঝায়?

 

যোগাযোগের বাধা

মানুষ পৃথিবীতে আর্বিভাবের পর থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে নিজেদের প্রয়োজনে। মানুষ একে অপরের সাথে শব্দ বা বাক্যের বিণিময়ে ইশারায়, আকারে ইঙ্গিতে বা সাংকেতিক ভাষায় যোগাযোগ রক্ষা করে। বর্ণমালা আবিষ্কারের পর মানুষ লিখিত যোগাযোগের প্রচলন ঘটায়। পরবর্তীতে যোগাযোগ প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে যোগাযোগ মাধ্যমের বিপ্লব ঘটে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

যোগাযোগের বাধাগুলি হল অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা যা মানুষের মধ্যে একটি বাধা সৃষ্টি করে, যা তাদের সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে অক্ষম করে, এগুলিকে অবশ্যই বিশদভাবে চিকিত্সা করা উচিত, কারণ তারা মানুষের মধ্যে সুস্থ যোগাযোগের ক্ষতি করতে পারে, যেমন এটিকে সঠিকভাবে জড়িত হতে বাধা দেওয়া। একে অপরকে না বোঝার জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এবং এমনকি মৌখিক শত্রুতার পরিবেশ তৈরি করা। অন্যদিকে, তারা সমাজে বিভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে যে বেশিরভাগ সময় খুব নেতিবাচক হয়।

 

 যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন

 

যোগাযোগের বাধা

নানা কারণে আমাদের যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। নিচে তিনটি প্রধান দিক তুলে ধরা হলো :

যোগাযোগকারী

উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী

পরিবেশগত

  • বয়স
  • মহিলা/পুরুষ
  • শিক্ষা
  • অর্থনৈতিক অবস্থা
  • ভাষা/ব্যবহৃত শব্দ
  • সময় জ্ঞান
  • সরবরাহ সামগ্রী বা লজিস্টিকস
  •  মানসিক অবস্থা
  • অনিচ্ছা
  • ভয়, লজ্জা
  • অনেক জানি ভাব
  • ভুল ধারণা
  • সময়
  • বাচ্চা বিরক্ত করা
  • লিংজনিত বাধা
  • গোলমাল/বিশৃঙ্খলা
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ
  • যোগাযোগের স্থান (যেমন বেশি/কম আলো)
  • কথার মাঝখানে তৃতীয় কারো আগমন
  • ভৌগোলিক অবস্থান
  • সামাজিক বাধা ইত্যাদি

 

নির্দিষ্ট বাধা বিবেচনা করে কার্যকর যোগাযোগ পদ্ধতি অনুশীলন করার মাধ্যমে যোগাযোগের এইসকল ব্যারিয়ার পরিহার করা সম্ভব। ক্রমাগত যোগাযোগ দক্ষতার উন্নতি সাধন ও অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে অনেক সহায়তা প্রদান করতে পারে। একজন ভালো যোগাযোগকারীর জন্য যোগাযোগের বাধাসমূহ এবং কিভাবে তা অতিক্রম করা যায় তা চর্চা করা খুবই দরকার।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment