বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ

আজকে আমরা আলোচনা করবো বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর কমিউনিকেশন এন্ড কাউন্সেলিং অংশের অন্তর্গত।

 

বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ

 

বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ

যোগাযোগ বলতে আমরা একে অপরের সাথে ভাবের এবং তথ্যের আদান প্রদানকে বুঝে থাকি। Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে, যোগাযোগ বলতে বুঝায় কোনো কিছু জ্ঞাত করা, প্রদান করা এবং অংশ গ্রহণ করা।

সেবা প্রদান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-কালচার থেকে আসা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও চিন্তা-ভাবনার অধিকারী ক্লায়েন্টের যোগাযোগের পছন্দ ও ধরন ভিন্ন ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এসকল ক্ষেত্রে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারেঃ

১। ভাষার জটিলতা মেনে নিতে হবেঃ

ভাষা খুব একটা সহজ বিষয় নয়; হোক সেটা ইংরেজী, বাংলা কিংবা অন্য কোনো আঞ্চলিক ভাষা। তাই জটিল ও কঠিন ভাষার প্রয়োগ কিংবা চিকিৎসা পরিভাষা ব্যক্তির নিকট দুর্বোধ্য মনে হতে পারে। কাজেই প্রতিটি ক্ষেত্রেই সহজ-সরল ভাষায় যোগাযোগের চর্চা করতে হবে।

২। নিরবতা কাজে লাগাওঃ

অনেক ব্যক্তির কাছেই কথা বলার মাঝখানে নিরবতা একটু অস্বস্তিকর লাগতে পারে। আপনার কথা শুনার সময় কিংবা নিজে কথা বলার মাঝেও ব্যক্তি খানিকটা বিরতি নিতে পারে। সেই সময় ধৈর্য্য ধরতে হবে। কথা বলার মাঝখানে বিরতির সময় রোগীর মুখ ও শরীরের অঙ্গভঙ্গি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফুটে উঠতে পারে। ব্যক্তি কথা বুঝতে পেরেছে কিনা তা জানার জন্য তিনি কি বুঝেছেন সেটি জিজ্ঞেস করা যেতে পারে।

 

বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ

 

৩। শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ ও এক্সপ্রেশন বা অভিব্যক্তি পরিহার করতে হবে:

যেমন, ‘এখন সময় 10 a.m.’- এই কথাটিও ব্যক্তি সহজে না বুঝতে পারেন। তাই বলা যেতে পারে ‘এখন সকাল ১০টা বাজে’। অপরিচিত উপমা বা বাঘধারা মূলক শব্দ বা বাক্যও পরিহার করা শ্রেয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment