আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু পুনর্গঠনে নিরাময় – যা সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এর অন্তর্ভুক্ত।
ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু পুনর্গঠনে নিরাময়

কোনো ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু আঘাত প্রাপ্তির পর যে প্রক্রিয়ায় নিজেকে পুনর্গঠন করে তাকে নিরাময় বলে। নিরাময় সাধারণত দুই ভাবে হয়,
১. পুনঃস্থাপন (Repair)
২. পুনঃউতপত্তি (Regeneration)
নিরাময়ের জন্য উৎপাদকসমূহ:
স্থানীয় উৎপাদক
অক্সিজেন লাভ্যতা
বয়স ও লিঙ্গ, হরমোন
সংক্রামণ
দেহতন্ত্ৰীয় উৎপাদক
দেহের অংশবিশেষে রক্তস্বল্পতা
বহিরাগত বস্তুর অবস্থান
বহুমুত্র রোগ, নির্দিষ্ট ওষুধ, অপুষ্টি

পুনঃস্থাপন (Repair):
ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমূহ নতুন কোষ সৃষ্টির মাধ্যমে পুনরায় মেরামত হওয়াকে নিরাময় বা পুনঃস্থাপন
(Repair) বলে। প্রদাহের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলও অকেজো হয়ে গেলে নতুন টিস্যুর সৃষ্টি হয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। প্রতিস্থাপিত টিস্যুই পূর্বের টিস্যুর স্থান দখল করে।
এই প্রক্রিয়াকে পুনঃস্থাপন বা নিরাময় বলা হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রদাহ দূরীকরণের ক্ষেত্রে ঔষধ (যেমনঃ এন্টিবায়োটিক) ছাড়াও ফিজিওথেরাপি, ইলেক্ট্রোথেরাপি, স্টেম সেল থেরাপী ও আকুপাংচার চিকিৎসাও বিশেষভাবে কার্যকর। চারটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাময় বা পুনঃস্থাপন হয়:
১) রক্ত জমাট বাধন (Coagulation): এই প্রক্রিয়ায় নতুন রক্তনালী সৃষ্টি হয়,
২) প্রদাহ (Inflammation): এই প্রক্রিয়ায় ফাইব্রোব্লাস্ট ও শ্বেত রক্ত কনিকা জড়ো হয়,
৩) কোষ সংখ্যা বৃদ্ধি (Proliferation): ফাইব্রোব্লাস্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করে নতুন ম্যাট্রিক্স সৃষ্টি হয়,
৪) পুনর্গঠন (Remodelling) : এই প্রক্রিয়া আন্তঃ ও বহিঃ আবরণী সুগঠিত হয়।

পুনঃউৎপত্তি (Regeneration)
কখনও কখনও আঘাত অথবা অস্ত্রপ্রচার জনিত কারণে দেহের অভ্যন্তরে অথবা উপরিভাগে কিছু স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে টিস্যুর পুনঃউৎপত্তির মাধ্যমে উক্ত ক্ষতিগ্রস্থ বা ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থান পুনরায় সৃষ্টিহয়। এই প্রক্রিয়াকে পুনঃউৎপত্তি বা রিজেনারশন বলে।
একই ধরনের নতুন কলা বা কোষ দিয়েসাধারণভ ক্ষতিগ্রস্থ কলার পুনঃস্থাপন হয়েথাকে। কলা বা কোষের পুনঃস্থাপন কোষভেদে তিন প্রক্রিয়ায় হয়।
আরও দেখুন: