রোগ প্রতিরোধ

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় রোগ প্রতিরোধ – যা সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এর অন্তর্ভুক্ত।

রোগ প্রতিরোধ

দেহের বাইরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক বন্ধু এবং জীবাণুর আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করার জন্য যে বৈশিষ্ট বা ক্ষমতা বলে এসব জীবাণুকে, চিহ্নিত, আবদ্ধ ও ধ্বংস করতে পারে তাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) বা অনাক্রম্যতা বলা হয়।

এন্টিবডি (Antibody):

এন্টিডি হচ্ছে বহিরাগত পদার্থের প্রতি সাড়া দিয়ে প্লাজমা-কোষ থেকে উৎপন্ন প্রোটিনধর্মী পদার্থ যা এর সমধর্মী এন্টিজেনের সংগে সুনির্দিষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে।

এন্টিজেন (Antigen):

বহিরাগত বস্তুর একটি অংশ যা বিভিন্ন খাপ পেরিয়ে কোষের প্লাজমা মেমব্রেনে অবস্থান নিয়ে এন্টিডি উৎপাদনে উদ্দীপনা জোগায়, তাকে এন্টিজেন বলে। সংক্রমণ মুক্ততা বা রোপ প্রতিরোধ বা অনাক্রম্য হলো দেহের কাঠামো নিয়ে গঠিত নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা দেহে রোগব্যাধির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।

সঠিকভাবে কাজ করতে অনাক্রম্যকে বহিরাগত ভাইরাস বা পরজীবীর বিভিন্ন এজেন্ট যাদেরকে রোগ সংক্রামক জীবাণু বা (Pathogen) বলা হয়।

রোগ সংক্রামক জীবাণুগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি বা বংশবিস্তার লাভ করে অনাক্রম্যতন্ত্রকে (Irmmune System) ফাঁকি দিতে পারে, আবার অনেক প্রতিরক্ষা উপাদানও একইভাবে উন্নতি করে রোগ সংক্রামক জীবাণুকে সনাক্ত ও প্রশমিত করতে পারে।

অনাক্রম্যতন্ত্রের কার্যপ্রণালীর মধ্যে রয়েছে খেত কনিকার ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়া, ডিফেনসিন্স নামধারী ক্ষুদ্রাণুরোধী পেপটাইসমূহ এবং কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম। মানুষের নির্দিষ্ট রোগ সংক্রামক জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে আরো সুচারুরূপে পদক্ষেপ নেবার মতো অধিক উন্নত প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে

 

রোগ প্রতিরোধ

 

রোগ প্রতিরোধ প্রকারভেদ: অর্জনের ভিত্তিতে:

১. ইনেট ইমুউনিটি (Innate Immunity) – যা দেহের কাঠামো, অঙ্গ, অঙ্গাণু দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং বংশগত ভাবে প্ৰান্ত

২. এ্যাকুয়ার্স ইউনিটি (Acquired Immunity) যা সংক্রমণ বা টিকা গ্রহণের পর জীবাণুর প্রতিরোধের স্মৃতি থেকে প্রাপ্ত

 

রোগ প্রতিরোধ

 

সংক্রমণের পর অনাক্রম্য স্মৃতি তৈরী করে রাখে যা একবার প্রতিরোধ করা হয়েছে এমন সংক্রামক জীবাণুর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলে।
অনাক্রম্যত সমস্যার ভিত্তিতে:

১. चরং चনক্রন ব্যাধি (Auto Immune Disease):

অনাক্রম্যতন্ত্র নিজ দেহ কোষকে ঠিকভাবে সনাক্ত না করে তাকে ৰহিরাগত কোষ মনে করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে স্বয়ং (অটোইম্যুনিটি) অনাক্রম্যতা
ৰলা হয়। অনাক্রম্যতন্ত্রে কোনো সমস্যা হলে, স্থায়ী প্রদাহী ক্ষত বা ক্যান্সার হতে পারে। যেমন- হাশিমোটোস থাইরয়ডিটিস, রিউমাটয়েড আর্দ্রাইটিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস টাইপ এবং সিস্টেমিক লুপাস ১- এরিথেনাটোসাস।

২. জন ক্রীন (Immune deficiency):

অনাক্রম্যতন্ত্র তুলনামূলকভাবে দুর্বল থাকলে এবং তা থেকে প্রাণঘাতী সংক্রমণ হতে পারে।
অনাক্রম্যহীনতার কারণ

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

১. জীবাণুর কারণে যেমন (এইডস/এইচ আই ভি)

২. অনাক্রম্যতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন ওষুধ ব্যবহারের কারণেও হতে পারে। (যেমন স্টেরয়েড

শারীরিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মত জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যদি এই জীবাণুসমূহ শারীরিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বারা নিষ্ক্রিয় না হয়,তবে সহজাত অনতিক্রম্যতা এর কাজ শুরু করে, যদিও এই ধরনের প্রতিরোধ অনির্দিষ্ট ধরনের।

যদি তাতেও জীবাণু নিষ্ক্রিয় না হয় তাহলে, ভিন্ন একধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা,এ্যাকুৱাৰ্ড ইমুউনিটি সক্রিয় হয়। এই ধরনের প্রতিরোধ জীবাণু শরীরে প্রবেশের পরই তৈরি হয় এবং ক্রমশ এর কার্যকারীতা বাড়তে থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসের পরও এর স্মৃতি শরীরে থেকে যায় এবং পুনরায় একই জীবাণুর আক্রমণে এ্যাকুয়ার্ড ইমুউনিটি একে চিনতে পেরে সক্রিয় হয় এবং জীবানুকে প্রতিরোধ করে |

আরও দেখুন:

Leave a Comment