আজকে আমরা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ানের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর পেশেন্ট কেয়ার টেকনিকের প্রাথমিক ধারণা অংশের অন্তর্গত।

পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ানের কর্মক্ষেত্র
একজন পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ান স্বাস্থ্য সেবার অনেক জায়গায় কাজ করতে পারেন। সেবার ধরন অনুযায়ী এগুলো অনেক রকমের হতে পারে। সকল সেটিংসেই পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ানের কাজের ধরন মোটামুটি একই রকম। যেমন:
হাসপাতাল বা ক্লিনিক:
হাসপাতাল বা ক্লিনিক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কিছু কিছু হাসপাতাল হচ্ছে জেনারেল, যেখানে সবধরনের রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। আবার বিশেষায়িত হাসপাতালে কেবলমাত্র নিৰ্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সেবা দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ; মেডিসিন, | সার্জারি বা অপারেশন সংক্রান্ত, কার্ডিওলোজি বা হৃদযন্ত্র সম্পর্কিত, ইমারজেন্সি বা জরুরি সেবা, ইনটেনসিভ কেয়ার বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র, সাইকিয়াটিক বা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, সেটার্নাল ও চাই হে বা না ও শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রভৃতি।

ডাক্তারের চ্যাম্বার:
ডাক্তারগণ সাধারণত তাদের বিশেষায়িত দক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিকের পাশাপাশি ব্যক্তিগত চ্যাম্বারেও রোগী দেখে থাকেন। এসকল ক্ষেত্রে রোগীর বিভিন্ন শারীরিক ভাইটাল সাইন্স বা অত্যাবশ্যকীয় লক্ষণসমূহ পরিমাপ করার প্রয়োজন হয়ে থাকে ।
নার্সিং হোম:
নার্সিং হোম হল বয়স্ক বা কোনো শারীরিক বা মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিদের আবাসিক যত্ন প্রদানের একটি সুবিধাঞ্চল। নার্সিং হোমগুলোকে দক্ষ নার্সিং সেবা কেন্দ্র, দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্র প্রদান কেন্দ্র, ও হোম, এসিস্টেড লিভিং ফেসিলিটি, বিশ্রামের ঘর, নিরাময় হোম হিসাবেও উল্লেখ করা যেতে পারে। নার্সিং হোমের ধারণাটি আমাদের দেশে এখনো প্রচলিত নয়, তবে উন্নত বিশ্বে এটি বহুল পরিচিত।

বৃদ্ধাশ্রম বা হোম:
ওল্ড হোম হল এমন একটি জায়গা যেখানে বয়োঃবৃদ্ধগণের যত্ন করা হয়, যারা সাধারণত নিজেদের স্বাভাবিক কার্যাবলি শারীরিক ঘুমতার কারণে আগের মত নিতে পারেন না। তাদের পরিচর্যা করা হয়। এ ধরনের সেবাকেন্দ্র আমাদের দেশেও | ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে।
হোম কেয়ার সেটিংস:
বর্তমানে অনেক ব্যক্তিই নিজের বাড়িতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন। হোমকেয়ার এজেন্সিগুলো ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরনের বয়সের মানুষের জন্যই বিভিন্ন ধরনের | স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে মূলত সার্বক্ষণিকভাবে একজন কেয়ারপিতারের মাধ্যমে রোগী বা ক্লায়েন্টকে দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি ডাক্তার বা নার্সের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষায়িত সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এই ধারণাটি খুবই সাম্প্রতিক হলেও অল্প কদিনেই এর জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর | সময়কাল থেকে বহু হোম কেয়ার এজেন্সি এ ধরনের সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে, যেখানে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান করার জন্য ব্যাপক সংখ্যক কেয়ারগিভারের চাহিদা রয়েছে।

ডে-কেয়ার সেন্টার:
ডে কেয়ার সেন্টার হলো সাধারণত এমন একটি সেবা প্রদান কেন্দ্র যেখানে কর্মজীবি বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাকে রেখে চাকুরী বা অন্যান্য কাজ করে থাকে। এ ধরনের সেবা কেন্দ্রে বিভিন্ন বয়সী বাচ্চাদেরকে গোসল করানো, খাবার খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো এরকম নানারকম কাজ সম্পাদন করতে হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়তা করার পাশাপাশি বাচ্চাদের সার্বিক যত্নে কেয়ারগিভার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
হস্পাইস কেয়ার সেন্টার:
হস্পাইস (বা হস্পিস) কেল্লার সেন্টারে অসুস্থ ব্যক্তির যত্ন, স্বাচ্ছন্দ ও জীবন মানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে সেবা প্রদান করা হয়। এরূপ কোনো কোনো সময় কোনো গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওষধ বা অন্য কোনো উপায়ে রোগ নিরাময় সম্ভব না হলে তার মৃত্য প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও সহনশীল করার জন্য এ ধরনের | সেবা প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বে চালু তাছে। আমাদের দেশেও এটির প্রচলন আস্তে আস্তে শুরু হচ্ছে যেখানে প্রচুর সংখ্যক কেয়ারগিভারের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও দেখুনঃ
2 thoughts on “পেশেন্ট কেয়ার টেকনিশিয়ানের কর্মক্ষেত্র”