আজকে আমরা আলোচনা করবো রোগীর কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর পেশেন্ট কেয়ার টেকনিকের প্রাথমিক ধারণা অংশের অন্তর্গত।

রোগীর কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
রোগীর কক্ষের ব্যবস্থাপনার মধ্যে প্রথমে কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। কক্ষের আসবাবপত্র, রোগীর পোষাক-পরিচ্ছদ, বিছানা, বালিশ, চাদর সবকিছুই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখা দরকার। পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে সহজে রোগ নিরাময় বা আরামদায়ক অবস্থা নিশ্চিত হয়। অপরদিকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ রোগীর জন্য মোটেও নিরাপদ নয়; এটি রোগীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

রোগীর ঘর প্রতিদিন ফিনাইল বা ডেটল পানি দিয়ে ভালো করে মুছতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত প্লেট, গ্লাস, বেডপ্যান ইত্যাদি সরঞ্জাম প্রতিদিন ডিশ পাউডার ও গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। কক্ষের দরজা ও জানালায় সাদা ও হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করলে ভালো হয়। পর্দা ব্যবহার করলে বাইরের ধুলাবালি ও কড়া রোদ কক্ষে প্রবেশ করতে পারেনা। রোগীর ব্যবহৃত প্রতিদিনের ময়লা কাপড়গুলো প্রতিদিন ভালোভাবে ধুয়ে শুকাতে হবে।
এছাড়া বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, মশারি, তোয়ালে বা গামছা, রুমাল ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। দরজা ও জানালার গ্রিল ডেটল পানি দিয়ে মুছতে হবে। রোগীর ব্যবহারের লেপ, তোষক, কম্বল, কাঁথা ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে। রোগির মলমূত্রাদি যথাসম্ভব দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

রোগীর কক্ষ সংলগ্ন বাথরুম, টয়লেট প্রতিদিন ফিনাইল, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। মেঝে পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। রোগীর কক্ষে যেন মশা-মাছির উপদ্রব না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রোগীর কক্ষ ও বসবাসের পরিবেশ ভালো হলে তা রোগীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠার জন্য সহায়ক হয়। রোগীর কক্ষের পরিবেশ ভালো হলে, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর জন্য সহায়ক হয়।
আরও দেখুনঃ
1 thought on “রোগীর কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা”