আজকের আলোচনার বিষয়ঃ মানবদেহে রক্ত । যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর বেসিক হিউমান বায়োলোজি ও এর প্রয়োগ অংশের অন্তর্গত।

মানবদেহে রক্ত
তরল যোজক টিস্যু (Fluid connective tissue): রক্ত এক ধরনের ক্ষারীয়, ঈষৎ লবণাক্ত এবং শনিবর্ণের তরল যোজক টিস্যু। ধমনি, শিরা ও কৈশিকনালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রক্ত অভ্যন্তরীণ পরিবহনে অংশ নেয়।
রক্তের বৈশিষ্ট-
ক) রক্তের পরিমাণ ৭০ কেজি ওজনের প্রাপ্তবয়ক্রের ৫-৬ মিটার।
খ) স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া : সামান্য ক্ষারীয়, pH = 1,362,85
গ) আপেক্ষিক গুরুত্ব : ১,০৫২ হতে ১.০৬০ এর মধ্যে।
ঘ) রক্তের তাপমাত্রা : ৩৬° হতে ৩৮° সেলসিয়াস।
ঙ) স্বাদ : লবণাক্ত।
চ) বর্ণ : লাল; লোহিত কণিকায় লৌহ উপাদান হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির জন্য রক্তের রং লাল হয়।

রক্তের কাজ
অক্সিজেন পরিবহণ:
লোহিত রক্ত কণিকার হিমোগ্লোবিনের ও প্লাজমার মাধ্যমে রক্ত ফুসফুস থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা কলাতে অক্সিজেন বহন করে ।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড:
অন্তঃশ্বসনের ফলে সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইড কলা থেকে ফুসফুসে পরিবহণ করে।
খাদ্যসার
পরিপাককৃত খাদ্যর অগ্ন থেকে কলা ও কোষে পরিবহণ করে।
সঞ্চিত খাদ্য পরিবহণ:
দেহের বিভিন্ন সঞ্চয় ভান্ডার (যেমন-যকৃত) থেকে খাদ্যসার কলাকোষে বহুন।
হরমোন পরিবহণ:
অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোন দেহের প্রয়োজনীয় কোষে পরিবহণ করে।
দৈহিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ:
অধিকতর সক্রিয় কলায় উৎপন্ন ভাগ দেহের সর্বত্র রক্তের সাহায্যে কটনের ফলে শরীরের নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
জীবানু প্রতিরোধ:
শ্বেত কণিকাগুলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবানু গ্রাস করে ধ্বংস করে।
ক্ষত নিরাময়:
ফাইরোরা উৎপন্ন করে কলার ক্ষত নিরাময় করে।
রক্তপাত প্রতিরোধ:
উচন (Clotting) প্রক্রিয়ায় ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ করে

রক্তের উপাদান:
১) রক্ত কণিকা (Blood Corpusclea) -৪৫%
রক্তরসের মধ্যে ছড়ানো বিভিন্ন ধরনের কোষকে রক্তকণিকা বলে। প্রধানত তিন প্রকার:
ক) লোহিত রক্তকণিকা (Erythrocyte),
খ) শ্বেত রক্তকণিকা (Leucocyte) ও
গ) অনুচক্রিকা (Platelet) |
লোহিত রক্ত কণিকা (Erythrocyte):
মানবদেহের পরিণত লোহিত রক্ত কণিকা ক্ষুদ্র দ্বি-অবতল ও নিউক্লিয়াসবিহীন চাকতির মতো লাল রংয়ের কোষ। এতে হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। এর কিনারা মসৃন এবং মধ্যাংশের চেয়ে পুরু। পরিণত কনিকা অত্যন্ত নমনীয় ও স্তিতিস্থাপক।
পরিমাণ:
সুস্থ দেহের রক্তে ১৫ গ্রাম/১০০ মিলি হিমোগ্লোবিন থাকে।
আয়তন:
গড় ব্যাস ৭.৩ এবং গড় স্কুলতা ২.২-
সংখ্যা:
বিভিন্ন বয়সের মানবদেহের প্রতিখন মিলিমিটার রক্তে রক্তবিকার সংখ্যা নিম্নরুপ
- ভ্রুণ ৮০-৯০ লক্ষ
- P: 60-904;
- পূর্ণবয়স্ক পুরুষ: ৫০ লক্ষ; পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী: ৪৫ লক্ষ।
বিভিন্ন শারীরিক অবস্থায় এ সংখ্যার তারতম্য ঘটে, যেমন- ব্যায়াম ও গর্ভাবস্থার লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ে।
উৎপত্তি স্থল:
ভ্রুণীয় জীবনে স্বকৃত, প্লীহা ও থাইমাস থেকে সৃষ্টি হয়। জন্মের পর ২০ বছর পর্যন্ত দেহের প্রায় সব লম্বা অস্থির অস্থিমজ্জার Haemocytoblast নামক কোষ থেকে এবং জীবনের বাকি সময় যা হিউমেরাস, ফিমার, স্টার্নীন, কশেরুকা, পকা প্রভৃতি অস্থির নাল অস্থিমজ্জা থেকে উৎপন্ন হয়।
আয়ু:
গড় আয়ু ১২০ দিন (৪ মাস)।
লোহিত রক্ত কণিকার কাজ
- ভেতরের হিমোগ্লোবিন শরীরের সবখানে অক্সিজেন (O) বহন করে।
- নিষ্কাশনের জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO) কে কলা (Tissue) থেকে ফুসফুসে বহন করে।
- হিমোগ্লোবিন বাফার হিসেবে কাজ করে রক্তের সাধারণ ক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শ্বেত রক্ত কণিকা (Leucocyte):
মানবদেহের পরিণত শ্বেতকণিকা অনিয়তাকার ও নিউক্লিয়াস যুক্ত বড় কোষ। এরা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবানু ধক্ষংস করে। আকার: নির্দিষ্ট আকারবিহীন, প্রয়োজনে আকার পরিবর্তিত হয়। নিউক্লিয়াস প্রথমে গোল বা ডিম্বাকার হয় কিছু বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃক্কাকার ও অশ্বখুরাকার ধারণ করে।
- সাইটোপ্লাজমের চাপে একপ্রান্তে অবস্থান করে।
- আয়তন: লোহিত রক্ত কণিকার চেয়ে বড়। গড় ব্যাস ভিন্নতা অনুসারে ৭.৫-২০-
- সংখ্যা: প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে ৫-৮ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। শিশু ও অসুস্থ মানবদেহে সংখ্যা বাড়তি থাকে।
- গঠন: শ্বেত রক্তকণিকা নিউক্লিওপ্রোটিন সমৃদ্ধ এবং গ্লাইকোজেন, লিপিড, কোলেস্টেরল, এসকরবিক এসিড ও বিভিন্ন প্রোটিওলাইটিক এনজাইম বহন করে।
আকৃতি ও গঠনগত ভাবে শ্বেত রক্ত কণিকাকে প্রধান দুভাগে ভাগ করা যায়, যথা- ক) দানাহীন (Agranulocytes) এবং খ) দানাময় (Granulocytes ) ।
ক) এগ্র্যানুলোসাইট:
দানাহীন, স্বচ্ছ ও বৃহদাকার নিউক্লিয়াসযুক্ত। আকৃতিগত ভাবে এরা দুই ধরনের, যথা- লিম্ফোসাইট (Lymphocyte) ও মনোসাইট (Monocyte)। এদের উৎপত্তি স্থল: লসিকা গ্রন্থি, প্লীহা, থাইমাস ও ক্ষুদ্রান্ত্রের লসিকা কলা থেকে ।
লিম্ফোসাইট:
সমসত্ব ও ক্ষারাসক্ত সাইটোপ্লাজোমের পাতলা স্তরে আবৃত বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ছোট কণিকা। এরা কৈশিক নালী থেকে যোজক কলায় অভিযাত্রী হতে পারে।
মনোসাইট:
বিপুল পরিমাণ সাইটোপ্লাজম ও একটি অপেক্ষাকৃত ছোট ডিম্বাকার ও বৃক্কাকার নিউক্লিয়াসবাহী বড় কণিকা।

লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট রক্ত কণিকার কাজ :
- লিম্ফোসাইট এন্টিবডি উৎপন্ন করে।
- লিম্ফোসাইট থেকে ফাইব্রোব্লাস্ট সৃষ্টি হয়ে কলার ক্ষয়পুরণ করে।
- মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ধংস করে।
খ) গ্রানুলোসাইট:
সূক্ষ দানাময় এবং ২-৭ খন্ডযুক্ত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট। দানাগুলো লিশম্যান রঞ্জকে নানাভাবে রঞ্জিত হয়। বর্ণধারার ক্ষমতার ভিত্তিতে গ্রানুলোসাইট ৩ ধরনের, যথা :
নিউট্রোফিল (Neutrophil) :
নিউট্রোফিল এর সাইটোপ্লাজম বর্ণ নিরপেক্ষ দানাযুক্ত।
ইসিনোফিল (Eosinophil) :
ইওসিনোফিল এর দানাগুলো ইওসিন রঞ্জকে লাল বর্ণধারণ করে।
ব্যাসোফিল (Basophil):
ব্যাসোফিল এর দানাগুলো ক্ষারাসক্ত হয়ে নীল বর্ণ ধারণ করে
নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল ও ব্যাসোফিল কণিকার কাজ
- নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইট্রোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ভক্ষণ করে।
- ইসিনোফিল ও ব্যাসোফিল হিস্টামিন নিঃসৃত করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ব্যাসোফিল নিসৃত হেপারিন রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতর জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।
অনুচক্রিকা (Thrombocytes or Platelets):
অনুচক্রিকা ক্ষুদ্রতম রক্তকণিকা। এটি দানাময় ও নিউক্লিয়াসবিহীন।
আকার: গোল, ডিম্বাকার বা দণ্ডাকার কিন্তু নিউক্লিয়াসবিহীন।
আয়তন: ৩ -৫– ব্যাস বিশিষ্ট
সংখ্যা: পরিণত মানবদেহে প্রতি ঘন মিলিমিটার রক্তে সংখ্যা প্রায় ২.৫-৫ লক্ষ।
গঠন: দানাময় সাইটোপ্লাজম, গহ্বর, পিনোসাইটিক গহ্বর ও অন্যান্য কোষ অঙ্গাণু একক আবরণী বেষ্টিত। উৎপত্তি
স্থল:অস্থিমজ্জার অন্যতম বড় কোষ মেগাক্যারিওসাইট (Megakaryocyte) এর ভগ্ন ক্ষুদ্রাংশ থেকে উৎপত্তি হয়। অন্যদের মতে শ্বেত কণিকা থেকে থ্রম্বাসোইটের সৃষ্টি হয়।
আয়ু: গড় আয়ু প্রায় ৫-১০দিন ।
পরিণতি:আয়ু শেষে প্লীহা, যকৃৎ ও অন্যান্য অঙ্গে বিনষ্ট হয় ।

অণুচক্রিকার কাজ
- রক্ত জমাট বাঁধতে অংশ নেয়।
- রক্তজালিকার ক্ষতিগ্রস্থ এডোথেলিয়াল আবরণ পুনর্গঠনে অংশ নেয়।
- বিভিন্ন সংকোচনধর্মী পদার্থ ক্ষরণের মাধ্যমে রক্তবাহিকার সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত বন্ধে সাহায্য করে।
এরাইথ্রোসাইট, লিউকোসাইট এবং থ্রম্বোসাইট-এর মধ্যে পার্থক্য
|
বিষয় |
এরাইথ্রোসাইট |
লিউকোসাইট |
থ্রম্বোসাইট |
| সংখ্যা (/mm° of blood) | ৫০ লক্ষ | ৫-৮ হাজার | ২.৫৫ লক্ষ |
| নিউক্লিয়াস | পরিপক্ক অবস্থায় নিউক্লিয়াস থাকে না | সব সময় নিউক্লয়াস থাকে | কোনো সময়ই নিউক্লিয়াস থাকে না |
| বর্ণ | লাল | বর্নহীন | বনহীন |
| আয়ু | ১২০ দিন | নির্দিষ্ট নয় | ৫-৯ দিন |
| আকৃতি | দ্বি -অবতল, চাকতির মত | গোলাকার বা অনিয়মিত | |
| কাজ | শ্বসন | রোগ প্রতিরোধ | রক্ত তঁচন |

২) রক্তরস (Plasma) 55%
রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বলে। এতে রয়েছে
ক) পানির পরিমাণ ৯১ – ৯২%।
খ) দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ ৮ – : ৯%।
গ) জৈব পদার্থ ৭.১ – ৮.১%। যেমন- গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, স্নেহ জাতীয় পদার্থ, লবন, ভিটামিন ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, বিলিরুবিন, কেরোটিন ইত্যাদি।
ঘ) অজৈব পদার্থ ০.৯%। যেমন- সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ ইত্যাদি।
রক্ত রসের কাজ
- পরিপাকের পর খাদ্যসার রক্তরসে দ্রবীভূত হয়ে দেহের বিভিন্ন কলা ও অঙ্গে বাহিত হয়।
- কলা থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়।
- কলার অধিকাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড রক্ত রসে বাইকার্বনেট রূপে দ্রবীভূত থাকে।
- অতি অল্প পরিমাণ অক্সিজেন এতে বাহিত হয়। লোহিত কণিকায় সংবদ্ধ হওয়ার আগে অক্সিজেন প্রথমে রক্তরসেই দ্রবীভূত হয়।
- হরমোন, এনজাইম, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বহন করে।
- রক্তের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।

রক্ত জমাট বাঁধার পদ্ধতি
শরীরের ক্ষতস্থান থেকে তরল রক্ত বেরিয়ে ঘন জেলীর মতো থকথকে পিন্ডে পরিণত হলে, তাকে রক্তজমাট
(Clot) বলে। রক্তরস থেকে রক্তজমাটের পৃথকীকরণ প্রক্রিয়াকে রক্তের জমাট বাঁধা বলে। রক্ত ঘাটতির – হাত থেকে রক্ষা পেতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া মানুষের এক গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ১৩টি ফ্যাক্টর (Factor) -এর সমন্বয়ে কয়েকটি ক্রমান্বযিক ধাপে সংঘটিত হয়। নিচে রক্ত। জমাট বাঁধার প্রধান ধাপগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলো
১) আঘাতের ফলে ক্ষতস্থানে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিদীর্ণ কলা থেকে থ্রোম্বোপ্লাস্টিন নামক এনজাইম বের হয়।
২) থ্রোম্বোপ্লাস্টিন ক্যালসিয়াম আয়নের উপস্থিতিতে নিষ্ক্রিয় প্রোথ্রোম্বিনকে সক্রিয় থ্রোম্বিনে পরিণত করে।
৩) থ্রোম্বিন ফিব্রিনোজেনকে ফিব্রিন নামক জালকে রূপান্তরিত করে।
৪) ফিব্রিন জালকে লোহিত ও শ্বেত কণিকা জড়িয়ে যায় এবং কোষজাত উপাদানগুলো এবং রক্তের অন্যান্য অংশ আটকে থাকে, ফলে রক্ত জমাট বাধে

লসিকা:
মানবদেহে বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে (Intercellular space) যে জলীয় পদার্থ জমা হয় তাকে লসিকা বলে। এগুলো ছোট নালির মাধ্যমে সংগৃহীত হয়ে একটি আলাদা নালিকাতন্ত্র গঠন করে, যাকে লসিকাতন্ত্র (Lymphatic system) বলে। লসিকা ঈষৎ ক্ষারীয় স্বচ্ছ হলুদ বর্ণের তরল পদার্থ। এর মধ্যে কিছু রোগপ্রতিরোধী কোষ থাকে, এদের লসিকাকোষ (Lymphoid cell) বলে।
প্লাজমা, সিরাম ও লসিকার মধ্যে পার্থক্য
|
তুলনীয় বিষয় |
প্লাজমা |
সিরাম |
লসিকা |
| প্রকৃতি | এটি রক্তের জলীয় অংশ | রক্ত জমাট বাঁধার পর জমাট পদার্থ নিঃসৃত জলীয় অংশ। | রজালক থেকে নিঃসৃত জলীয় অংশ |
| রক্তকনিকা | এর মধ্যে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা থাকে | এতে রক্তকণিকা থাকে না। | প্রধানত লিম্ফোসাইট, শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। |
| ফিব্রিনোজেন | বিপুল পরিমাণ | অনুপস্থিত | সামান্য পরিমাণ |
| অবস্থান | প্রধানত রক্তপ্রবাহে ও হৃদপ্রকোষ্ঠে অবস্থান করে | সাধারণ অবস্থায় দেহের মধ্যে থাকে না। | প্রধানত আন্তঃকোষীয় স্থানে অবস্থান করে। |
আরও দেখুনঃ