আজকে আমরা অপুষ্টির প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা পেশেন্ট কেয়ার টেকনিক ১ এর খাদ্য ও পুষ্টির প্রাথমিক ধারণার প্রয়োগ অংশের অন্তর্গত।

অপুষ্টির প্রকারভেদ
অপুষ্টি (Malnutrition)
অপুষ্টি হল এমন একটি অবস্থা যা তখন বিকশিত হয়, যখন শরীর সুস্থ টিস্যু এবং অঙ্গের কার্যকারিতা বজার রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঠিক পরিমাণ পায় না। এতে অপুষ্টি, অত্যধিক পুষ্টি এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাবজনিত রোগ (যেমন ভিটামিন এ-এর অভাব, আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা, আয়োডিনের অভাবজনিত ব্যাধি এবং জিঙ্কের ঘাটতি) অন্তর্ভুক্ত।

অপুষ্টি বেশিরভাগই নিম্নলিখিত শ্রেণির মানুষদের প্রভাবিত করে:
- গর্ভাবস্থা থেকে দুই বছর বয়সী শিশু
- বুকের দুধ না খাওয়া শিশু
- গর্ভবর্তী এবং স্তন্যদানকারী মহিলারা
- দীর্ঘস্থায়ী অসংক্রামক বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি

অপুষ্টির প্রকারভেদ:
ক) ঘাটতিজনিত অপুষ্টি (Under nutrition):
খাদ্যের অপর্যাপ্ত গ্রহণের ফলে বা খাদ্য রূপান্তর বা শোষণে শরীরের অক্ষমতার ফলে ঘাটতিজনিত অপুষ্টি ঘটে। এই অপুষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে পেশীর ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টি গর্ভাবস্থা থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের প্রভাবিত করে, তাদের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে এবং উচ্চতা বৃদ্ধি মন্থর হওয়ার দিকে পরিচালিত করে। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অপুষ্টি (খনিজ ও ভিটামিনের অভাব) খাদ্যতালিকায় খনিজ লবণ এবং ভিটামিনের অপর্যাপ্ত গ্রহণের কারণে হয়। অপুষ্টির এই রূপটি সহজে শনাক্ত করা যায় না, যখন ক্লিনিকাল লক্ষণগুলো উপস্থিত হয় তখন বুঝা যায়। খনিজ এবং ভিটামিন খুব অল্প পরিমাণে শরীরের জন্য প্রয়োজন, তারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খ) অত্যধিক পুষ্টি (Over nutrition):
এর মানে হল, বিভিন্ন বয়স ভেদে খাবারে পুষ্টির অত্যধিক গ্রহণ যা ব্যক্তির খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য দায়ী। অতিরিক্ত পুষ্টির ফলে অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতা বা ভিটামিন বিষাক্ততা দেখা দেয়। অত্যধিক পুষ্টি নিম্নলিখিত কারণগুলোর মধ্যে যে কোনো কারণে হতে পারে :
- খাদ্যাভ্যাস (অতিরিক্ত খাওয়া)
- স্বাস্থ্যের অবস্থা
- অনেকগুলো অনির্ধারিত খাদ্যতালিকাগত সম্পূরক গ্রহণ করা
- শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব
- মনস্তাত্ত্বিক কারণ (স্ট্রেস)
- পরিবেশগত কারণ (অনিরাপদ খাবার, যেমন, খাবারে ভারী ধাতু, সহকর্মীর চাপ
- ঔষধ, জিনগত কারণ
আরও দেখুনঃ